মুন্সীগঞ্জের হিমাগার থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৫৬ হাজার বস্তা আলু বের হচ্ছে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর)। বৃহস্পতিবারের (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যে আলু ছড়িয়ে পড়বে জেলার ৬৯টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ভোক্তা পর্যায়ে; ‘আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৭ টাকা’ থাকবে। তবে পাইকারি মূল্য কেজি প্রতি ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে।
সকাল থেকে এ সব আলু সরকার নির্ধারিত দাম ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি ও জনসচেতনতায় মাইকিং করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকদের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সরকারের বেঁধে দেয়া দামে খুচরা ও হিমাগার পর্যায়ে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে বাজার ও হিমাগারগুলোতে একযোগে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিমাগারে আলুর পাইকারি মূল্য কেজি প্রতি ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে। তবে খুচরা বাজারে কোনোভাবেই ৩৭ টাকার বেশি হবে না।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা। ছবি: সময় সংবাদ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান জানান, সকাল থেকেই প্রতিটি ইউনিয়নে এই মাইকিং শুরু হবে। এছাড়া মনিটরিং টিম আলুর বাজার ও হিমাগার মনিটরিং করবে।
সভায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুজাফর রিপনের সভাপতিত্বে আরও অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মাসুদুল আলম।
মতবিনিময়ে অংশ নেন রিভারভিউ হিমাগারের মালিক ও পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাসহ হিমাগার মালিক ও আলু ব্যবসায়ী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম ও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এবিএম মিজানুল হক প্রমুখ।