গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের ভিসিদের কোন ভিশন নেই। তারা জানেন না আমাদের শিক্ষার্থীরা কেমন অমানবিকভাবে ছাত্রাবাসে থাকে। উনারা জানেন না মধ্যরাতে তাদেরকে ডেকে এনে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হয়। উনারা জানেন না মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের ডেকে অমানুষিক অত্যাচার করা হয়।
তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি মিলনায়তনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য’র আয়োজনে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মাহবুব বলেন, গেস্টরুমের নামে নির্যাতন সেল তৈরি করে ছাত্রদের এমন কোন প্রকার নির্যাতন নেই যা করা হয় না। দেশের বিভিন্ন ছাত্রী হোস্টেলে ছাত্রলীগের নেতৃরা জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে লিপ্ত করতে বাধ্য করে। কখনো এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। শিক্ষার্থীদের উপর আবাসিক হলগুলোতে নির্যাতনের ফলে কত মেধাবী ছাত্রের জীবন ধ্বংস হয়েছে সেই হিসাব কি কেউ রেখেছে? অথচ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন হওয়ার কথা একজন ছাত্রের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান এবং সবচেয়ে আন্দন্দের সময়।
মতবিনিময় সভায় ফ্যাসিবাদী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, জোটের মুখপাত্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুবসহ ১৫টি ছাত্র সংগঠনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
মেহেদী হাসান মাহবুব আরও বলেন, ছাত্রদের দেশের কল্যাণের কথা ভাবতে হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সমানুভূতির চর্চা করতে হবে। টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি বাদ দিয়ে সততার সঙ্গে চলতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ১৫টি সংগঠন নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য’ গঠিত হয়। সংগঠনগুলো হলো- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্র সমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (তাসমিয়া প্রধান), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুতফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলোদেশ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
গত ৯ অক্টোবর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র কনভেনশন হয়।