তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হলে গাজাকে অবশ্যই স্বাধীন ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে। ইতিহাস থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে ফেলার মডেলকে তুরস্ক কখনোই সমর্থন দেবে না।
শুক্রবার কাজাখস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এরদোগান বলেন, এখন থেকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিজের ‘সহকর্মী’ হিসেবে বিবেচনা করবো না। তাকে আমরা বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন ফিলিস্তিন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ও হামাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। যুদ্ধের প্রাথমিক দায় নেতানিয়াহুকেই বহন করতে হবে। ইসরায়েলকে এখন ‘যুদ্ধাপরাধী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে জবাবদিহিতার আওতায় না আনা হলে বৈশ্বিক ব্যবস্থার ওপর আর কোনো আস্থা থাকবে না।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভূমিকাকেও সমালোচনা করেছেন এরদোগান। বলেছেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি ও এই যুদ্ধে ইইউ ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়নি। এ কারণে ইইউয়ের ওপর মানুষের যে আস্থা ছিল, সেটা নষ্ট হয়ে গেছে। ইউরোপের দেশগুলো ইসরায়েলের প্রতি যে সমর্থন জানাচ্ছে, তা তারা করছে ইহুদিদের ওপর চালানো গণহত্যার (হোলোকাস্ট) ঋণ থেকে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালালেও, তা নিয়ে চুপ রয়েছে তারা। কিন্তু এক্ষেত্রে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান যুদ্ধ শুরুর পর বিভিন্ন বক্তব্যে বরাবরই বলেছেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী দল নয় বরং স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল জানায়, গাজায় যুদ্ধ নিয়ে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান উত্তপ্ত বক্তব্যের জেরে আঙ্কারার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃমূল্যায়ন করছে তেল আবিব। তাছাড়া নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে সব কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ইসরায়েল।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান