উত্তরা সংবাদ দাতা :
উত্তরখান থানাধীন মাজার চৌরাস্তায় ৩৪ শতাংশ জমির উপর সেমিপাকা প্রায় ৫০টি টিনসেড দোকান ঘর রয়েছে। ফালুর বাজার নামে পরিচিত এ মার্কেটের মাছ,মাংস, মুরগী,মুদি, সবজি এবং নানাবিধ কয়েকটি ফলের দোকানের ভাড়া উঠানো এবং মালিকানাকে কেন্দ্র করে গত ০৯/০৯/২০২৩ ইং তারিখ দুই গ্রুপের মধ্যে মারা মারি ও ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়।
মারা মারির ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মার্কটের একটি অংশের দাবিদার জৈনক নিজাম উদ্দিনের ছেলে অধ্যক্ষ মোঃআলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় আলমগীর বাদী হয়ে আজ রবিবার ১২/১১/২০২৩ ইং তারিখ উত্তরখান থানায় মামলা করেন,মামলা নং ১২।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, আসামী শাহ আলম, শিমুল এবং পলাশ বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে।এতে মামলার বাদী আলমগীর ও তার ম্যানেজার রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পরে থাকলে স্থানীয় লোকজন তাকে এবং তার ম্যানেজার নুরুকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।সেখানে চিকিৎসা শেষে আলমগীরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে পরিবারের লোকজন উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের লুবানা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে একাধীকবার তার কিডনি ডায়ালাইসিস করানো হয়। চিকিৎসা শেষে রবিবার চিকিৎসা সনদ ও যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে উত্তরখান থানায় হাজির হয়ে তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে আরো জানা যায়, উক্ত ঘটনায় মোঃশাহ আলম মিয়া,মোঃ মহিউদ্দি শিমুল, মোঃ পলাশসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও আরো২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।আসামিদের গ্রেফতার করা বিষয়ে জানতে চাইলে
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর অপারেশন মাহবুব আলম জানান মামলার খবর পেয়ে আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।