২০২২ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ২৪ লাখের বেশি কর্মী বিভিন্ন দেশে গেছেন। এর প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৬২ কোটি ডলার বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। বিদায়ী বছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২২ ও ২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ জনশক্তি রফতানি হয়েছে। বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বেশি আসছে। অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ারও প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সে।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, আমাদের উচিত দক্ষ কর্মী পাঠানোর দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি প্রবাসীরা যেন বৈধ পথে টাকা পাঠায় সেজন্য নানা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া, সেভিংস প্রোডাক্ট করা। এছাড়া প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা সহজলভ্য করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসী আয় আরো বাড়াতে অর্থপাচার বন্ধে জোর তৎপরতা চালাতে হবে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, বৈধ পথে প্রবাসীদের আয় বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ–সুবিধা আরো বাড়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারিভাবে কম খরচে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হচ্ছে।