আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন একটি সরকার নির্বাচনের লক্ষ্যে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা ও কারচুপির আশঙ্কার মধ্যেই দেশজুড়ে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে আর তাতে লড়ছে ১৭ হাজারেরও বেশি প্রার্থী।
দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে এবং তা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। সহিংসতা বা কোনো ঝামেলার কারণে ভোট গ্রহণ বিঘ্নিত হলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটের সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।
নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল বেলুচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় ৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতের অঙ্গীকার করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রথম বেসরকারি ফলাফল পাওয়া যাবে। শুক্রবারের সকালের মধ্যে ফলাফলের পরিষ্কার একটি চিত্র পাওয়া যেতে পারে। তবে অনেক বিশ্লেষকের বিশ্বাস কোনো দলই হয়তো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার কারা গঠন করবে তা নির্ধারিত হবে এই ভোটে। যেখানে ভোট দেবেন দেশটির ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার।
এদিন কেন্দ্রীয় আইনসভার পাশাপাশি চারটি প্রদেশের আইনসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। একজন ভোটার দুটি করে ভোট দেবেন, একটি জাতীয় আইনসভার জন্য অপরটি প্রাদেশিক আইনসভার জন্য।
জাতীয় আইনসভার আসন সংখ্যা ২৬৬টি। এর মধ্যে পাঞ্জাব প্রদেশে আছে সবচেয়ে বেশি, ১৪১টি আসন। সিন্ধু প্রদেশে আছে ৬১টি, খাইবার পাখতুনখওয়ায় ৪৫টি, বেলুচিস্তানে ১৬টি ও রাজধানী ইসলামাবাদ অঞ্চলে ৩টি। পাঞ্জাব প্রদেশে জয়ী দলই সাধারণত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও কারারুদ্ধ অন্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা আদিয়ালা কারাগার থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি ভোট দিতে পারেননি, কারণ তাকে গ্রেফতারের আগেই পোস্টাল ভোটের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল।