সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে ১২ বছর আগে।কিন্তু এতদিনেও তাদের বাড়তি আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বঞ্চিত প্রায় ৬ হাজার সহকারি শিক্ষক। দীর্ঘদিন ন্যায্য অদিকার থেকে বঞ্চিত সহকারি শিক্ষকগনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রনালয়কে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রধানের জন্য জাতীয় বেতনস্কেল ২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ৭(২) এবং ৭(৯) এর আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করলেও তা বাস্তবায়ন করেনি শিক্ষামন্ত্রনালয়।
জানা যায়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের এণ্ট্রিপদ ১ম শ্রেণি (৯ম গ্রেড) দাবির প্রেক্ষিতে আপনি ২০১২ সালের ১৫ মে আমাদেরকে বিদ্যমান ১০ম গ্রেডে রেখেই তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদ মর্যাদা প্রধান করেন। এর ফলে আমরা দ্বিতীয় শ্রেনির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যথাক্রমে ২০১৩ সালে ১২ বছর পুর্তিতে ২০০১ ও ২০০২ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩১৩ জন সহকারি শিক্ষক ২য় টাইমস্কেল পেয়ে ৭ম গ্রেডে এবং ২০০৫ ও ২০০৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩২৬ জন সহকারি শিক্ষক ০৮ বছর পুর্তিতে ১ম টাইমস্কেল পেয়ে ২০১৪ সালে ৮ম গ্রেডে উন্নিত হওয়ার কথা। আমাদের যথাযথ নিয়মে আবেদনের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ শাখা শিক্ষামন্ত্রনালয়ের স্মারক নং ৩৭,০০,০০০০,০৭১,০৫,০০১,১৬-১৩১; তারিখ : ০১,০২,২০১৭ এর অনুকূলে নথি নং ০৭.০০.০০০০.১৬২.৩৭.০০৯.২০১৩(অংশ)-৯১; তারিখ ১৯.০৬২০১৭.(সংযুক্ত) মাধ্যমে পরিস্কারভাবে শিক্ষামন্ত্রনালয়কে আমাদের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রধানের জন্য জাতীয় বেতনস্কেল ২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ৭(২) এবং ৭(৯) এর আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করে। এ নির্দেশনা পাওয়ার পরও শিক্ষামন্ত্রনালয় আমাদের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে পুণরায় অর্থমন্ত্রনালয়কে স্পষ্টীকরনের জন্য চিঠি প্রেরণ করে। দীর্ঘদিন পার হলেও এর কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ নেয়নি শিক্ষামন্ত্রনালয়।
টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আলী বেলাল বলেন, চাকরি নীতিমালার আলোকে এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারনে প্রায় ৬০০০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা আজ ন্যায্য পাওনা টাইমস্কেল ও সিলেকশন গেড হতে প্রায় ১০ – ১২ বছর যাবত বঞ্চিত। যার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও অবহেলিত। এমন পরিস্থিতিতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃস্টি আকর্শন করে বলছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার সরকার নি:সন্দেহে শিক্ষাবান্ধব সরকার। আপনার সানুগ্রহ আদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষিকাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।