লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা মান্দারী ইউপির মোহাম্মদনগর এলাকায় চোখে পড়ে বিশাল আকৃতির আমগাছ। স্থানীয় আকাব উদ্দিন হাজির বাড়ির পুকুর পাড়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। মাথা নিংড়ানো আম গাছের মধ্যে ধরে আছে থোকা থোকা আমের মুকুল। এ যেন এক হলুদের সমারোহ। মৌ মৌ গন্ধে পুরো এলাকায় সুশোভিত। অসময়ে আম গাছে মুকুল দেখে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
আমের মুকুল দেখতে আসেন অনেকে। স্থানীয়রা বলছেন আরো অন্তত এক থেকে দেড় মাসে পরে আস্তে আস্তে প্রত্যেকটি আম গাছে মুকুল ধরবে। এর আগেই গাছটিতে মুকুল ধরেছে। তবে প্রতিবছর এমনটি হয় বলে জানান গাছের মালিক আব্দুল্লাহ।
সবার আগে তার আম গাছে মুকুল ধরে পর্যায়ক্রমে আম ধরে। যখন এই গাছের আম খাওয়া শেষ হয় পরবর্তীতে অন্য গাছের আম গাছের মুকুল ধরে। প্রতিবছর এভাবে আম গাছে মুকুল ধরার পর মানুষ দেখতে আসে। কেউ ছবি তুলে কেউ বা ভিডিও করে নিজেদেরকে আনন্দে রাখে।
স্থানীয়রা বলছেন, মোহাম্মদনগর এলাকায় কোথাও এমন দৃশ্য দেখা যায় না। আকাব উদ্দিন হাজী বাড়ির সামনে পুকুরপাড়ে বিশাল এই আম গাছে প্রতিবছর দুই তিন মাস আগেই ফুল ধরে। মুকুল বের হয় এবং পরবর্তীতে প্রত্যেকটা মুকুলে আম ধরে। এই গাছের আম শেষ হওয়ার পরে অন্যান্য গাছে আমের মুকুল আসে। বিকেল হলে পুরো এলাকার মানুষ দেখতে আসে আম গাছটি। কেউ ছবি তুলে কেউ ভিডিও বানায় কেউবা আম গাছে ধরে টিকটক বানায়।
আম গাছের মালিক আব্দুল্লাহ বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর থেকে এই আম গাছের মুকুল অন্যান্য আম গাছের চেয়ে আগে আসে। সময় মতো আম ধরে এবং আম খাওয়ার পর অন্য সব আম গাছে মুকুল আসে।
তিনি বলেন, আমরা আম খাই, পাড়া প্রতিবেশীদেরকে দিয়ে থাকি। কখনো কখনো বিক্রিও করি। তবে আম সুস্বাদ।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এটা এক জাতীয় আম সেটিতে অসময়ে ফুল আসে মুকুল আসে। আমও হয়। এটা তেমন একটা চোখে পড়ে না। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ জাতীয় আমগাছ রয়েছে। এটাকে ১২ মাসি আমও বলে। এটা আল্লাহ প্রদত্ত।