লক্ষ্মীপুরে সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করেছে কিছু প্রভাবশালী মহল। এছাড়া সড়কের পাশেই নির্মাণ সামগ্রী রেখে ব্যবসা করে আসছেন তারা। ঘটনাটি সদর উপজেলার ২ নম্বর দক্ষিণ হামছাদী ইউপির পালেরহাট বাজারে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পালেরহাট বাজারের দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের দু’পাশে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন কয়েকজন। এছাড়া সড়ক ঘেঁষে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী আবু জাহের, রাজু, সাজু ও হাফিজুর রহমান বিটু এসব দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। সড়ক ও জনপদের জমিতে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করা মো. আবু জাহের লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পালেরহাট বাজার এলাকার ইয়ারপুর মৌলভী বাড়ির ফজর আলীর ছেলে। মো. রাজু ও সাজু একই এলাকার ইসমাইল হোসেন নয়নের ছেলে। আবু জাহের কয়েক মাস আগে তার দোকানটি নির্মাণ করেছেন। আর রাজু ও সাজুরা গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের দোকানঘর নির্মাণের কাজ করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, লক্ষ্মীপুরের বাগবাড়ি থেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সড়কের পালেরহাট বাজার এলাকায় সওজ’র জমি দখল করে শুধু আবু জাহের ও রাজুরা নয় আরো অনেকেই দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। কেউ আবার বাধার সম্মুখীন হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেন নি। এদের একজন পূর্ব গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান বিটু।
তিনি কয়েক মাস আগে স্কুল সংলগ্ন সওজের জমিতে দুটি দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করেও কাজটি সম্পন্ন করতে পারেননি। এখন ওই অসম্পূর্ণ কাজ করতে বিভিন্ন পাঁয়তারা করছেন। প্রাইমারি স্কুলটির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন (দোকানের অংশে)। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ (শিক্ষক ও স্থানীয়রা) তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলছে না।
অভিযুক্ত রাজু বলেন, জায়গাটি সরকারি, তাই স্থায়ী নয় অস্থায়ী দুটি দোকানঘর নির্মাণ করেছিলাম। যা স্থানীয় কোনো প্রভাবশালী লোকের ইন্ধনে করা হয়নি। তাছাড়া সড়ক সংলগ্ন ফুটপাতে দোকান হলেও যানবাহন কিংবা পথচারীদের চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
অভিযুক্ত মো. আবু জাহের বলেন, জমিটি একসময় আমাদের ছিল। কয়েক বছর আগে ওই জমিটি সরকার নিয়ে যায়। প্রশস্থ করা হয় সড়কটি। এরপর থেকে রাস্তা সংলগ্ন ফুটপাতে দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছি। তবে কখনো কোনো সমস্যা হয়নি।
সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, সড়কের জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে গাড়ি ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ঘটনাটি জানা ছিল না। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কের জমি দখলের কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে দেওয়া হবে।