ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) চেয়ারম্যানসহ স্বতন্ত্র সব পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার তারা পদত্যাগ করার পর রোববার নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার উদ্যোক্তা পরিচালক খলিলুর রহমানকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন ও সিকদার ইন্স্যুরেন্সের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সফিকুর রহমানও এই পর্ষদে আছেন। বৃহস্পতিবার এই তিনজন ছাড়া অন্যরা পদত্যাগ করেন।
নতুন করে প্রতিনিধি পরিচালক করা হয়েছে- প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম, ব্যবসায়ী এরশাদ মাহমুদ, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম তফাজ্জল হককে। আর স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, চার্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ড. রত্না দত্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবিএম জহুরুল হুদাকে।
পরিচালনা পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান সোমবার সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
ব্যাংকের এমডি বরাবর পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৭(১) এবং ৪৮(১) ধারার ক্ষমতা বলে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অবিলম্বে বাতিল করা হলো। আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা এবং ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে নতুনভাবে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হলো।
জানা গেছে, বাধ্যতামূলক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েনের কারণে তারা সবাই পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৯ এপ্রিল ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে ডেকে এনে ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশনা দেয়।
তবে গত ২৭ এপ্রিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- ইউসিবি কেন, কোনো ব্যাংকের সঙ্গে তারা একীভূত হবে না। এ নিয়ে কোনো কোনো পরিচালক প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলে প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘স্বেচ্ছা’ একীভূতকরণ প্রক্রিয়া।
এর বাইরে আরো যেসব ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে তা নিয়েও নানা সমালোচনা শুরু হয়।