শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

মধ্যরাতে দরজা ভেঙে নারীর কক্ষে ঢুকল ৭ পুলিশ, অতঃপর…

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
  • ৩৫ বার পঠিত

মধ্যরাতে দরজা ভেঙে আসামি ধরার নামে মসজিদের একজন ইমামকে লাথি ও এক নারীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার এএসআইসহ ৭ পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে। সেখানে নেতৃত্ব দেন এএসআই আলমগীর হোসেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নের আমুয়াবাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমরা তো কোনো অপরাধী না। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও ছিল না। অথচ রাত দেড়টার সময় আমরা যখন ঘুমিয়ে ছিলাম ঠিক তখন হঠাৎ পুলিশ এসে বাড়ির গেট ভেঙে বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে। এতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এরপর আইনের লোক পরিচয়ে ঘরের দড়জা খুলতে বলে। খুলতে দেরি হওয়ায় দড়জায় লাথি মেরে ভেঙে ফেলে। ওই রুমে তখন আমি শুধু ছিলাম। আমি নারী হওয়া সত্ত্বেও তারা সাতজন পুলিশ ঢুকেছে। একজনও নারী পুলিশ ছিল না। তারা আমাকে নাজেহাল করেছে। আমি এর বিচার চাই।

এদিকে মসজিদের ইমাম ভুক্তভোগী রাব্বানি বলেন, তখন রাত দেড়টা বাজে। ওই সময় বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা মানে কোনো চোর ডাকাত বা সন্ত্রাসী আসতে পারে এটাই স্বাভাবিক। আসামি না হওয়া সত্ত্বেও তারা এভাবে দরজা ভেঙে বাড়িতে পুলিশ প্রবেশ করেছে এটি কোনোভাবে কাম্য নয়।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এএসআই আলমগীর হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) সজল খান বলেন, একই নামের আসামি থাকায় ওই বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। পরে নাম ভুল হওয়ায় পুলিশ চলে এসেছে। তবে তারা দরজা খুলতে দেরি করায় পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com