সিটিজেননিউজ ডেস্কঃ দুই দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবার ঢাকা সফরে এসে লু দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নিরাপত্তা ইস্যুতে জোর দেবেন বলে ইঙ্গিত রয়েছে।
সূত্র জানায়, যেসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপড়েন রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দুদিনের সফরে ডোনাল্ড লু ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ছাড়াও ভিসা নিষেধাজ্ঞা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হবে। সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিলেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকার যে বাইডেন প্রশাসনের অগ্রাধিকার তাও ডোনাল্ড লু স্পষ্ট করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
ডেনাল্ড লুর সফর নিয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠির শুরুতে বাইডেন ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর পর্ব’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন, যা থেকে স্পষ্টÑ যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মনোযোগী। আর অগ্রাধিকার হিসেবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা ও বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। ডোনাল্ড লু ঢাকায় এলে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে আরও ধারণা পাওয়া যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চিঠি দিয়ে এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার কথা বলেন। মার্কিন প্রশাসনের যেই আসুন সেই ধারাবাহিকতাতেই আলোচনা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার দিনের প্রথম ভাগে কলম্বো থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সফরের প্রথম দিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি। দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ সময় ডোনাল্ড লুর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।