নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দুইদিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার পর ঢাকা পৌঁছান তিনি।
পেনি ওংয়ের সফরে দুই দেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এছাড়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করবেন তিনি।
বিকালে ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওংয়ের।
এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করতে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন পেনি ওং; আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলেন হাছান মাহমুদও।
বিবৃতিতে পেনি ওং বলেন, “শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থ এগিয়ে নিতে আমি এ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করব।
“ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর এই সময়ে বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত।”
তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর কাজ করছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মত অভিন্ন চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রেও।
ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রতীক্ষায় থাকার কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বেশ ভালো যোগাযোগ রয়েছে।বাংলাদেশের ৫০ হাজারে বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন।”
সফরসূচিতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের বিষয়টি থাকার কথা তুলে ধরেন পেনি ওং বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা কীভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাস্তবিক সহযোগিতা করছে, সেখানে আমি তা দেখব।
“বাস্তুচ্যুতির কারণ তুলে ধরা, সমস্যার স্থায়ী সমাধান খোঁজা এবং চূড়ান্ত বিচারে রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার লক্ষ্যপূরণে বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা।”
পেনি ওংয়ের সফরের আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সোমবার বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয়াবলীর মধ্যে, বিশেষত বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ, বাংলাদেশিদের অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, সেখানে প্রবাসীদের কল্যাণ, জ্বালানি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতার বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।