নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পথে তাদের যাত্রায় যে চ্যালেঞ্জগুলো প্রত্যক্ষ করছে তা দূর করতে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলো অনুভব করছি সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি।’
গতকাল নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সেখানে পৌঁছান।
সাক্ষাতের পরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলো অনুভব করছি সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি।
-সৌজন্য সাক্ষাতের আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, এ সাক্ষাতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মুখ্য সচিব বলেন, দুই নতুন সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। তাই দুই দেশে নতুন ভিশন যুক্ত হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে, এই সম্পর্ককে এখন নতুন অধ্যায়ে নেওয়া যেতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, এই নতুন অধ্যায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে লজিস্টিক, জ্বালানি ও কানেকটিভিটি খাতে গভীরভাবে কাজ করতে চায়।
২৩ জুন আওয়ামী লীগের হীরক জয়ন্তী উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) জন্য একটি নতুন ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান ড. এস. জয়শঙ্কর।
আগামী সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিমসটেকের পরবর্তী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় একমত হন, বিমসটেক শক্তিশালী হলে তা অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, কানেকটিভিটি এবং ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে।
সাক্ষাতে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে কর ও রাজস্ব সংগ্রহ এবং জনগণকে সেবা প্রদান উন্নয়ন করাসহ ডিজিটাল কর্মসূচির উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জানান, সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী দুই প্রতিবেশী দেশের প্রকল্প দ্রুত ও সহজে শেষ করার ওপর জোর দেন। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একমত হন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, মিয়ানমার সরকার ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।