আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রান-অফ অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শীর্ষ দুই প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় রান-অফে গড়ায় এ নির্বাচন। ৫ জুলাই ভোটের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৮ জুন) ইরানে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এতে মূলত দুজন প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। তবে এগিয়ে থাকা প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ানও ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুন) ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। এই দফায় লড়বেন মধ্যপন্থী রাজনীতিক মাসুদ পেজেশকিয়ান ও কট্টরপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত সাঈদ জলিলি। এই দুইজনের মধ্যে যেকোনো একজনকে বেছে নিতে আবারও ভোটকেন্দ্রে যাবেন ইরানি জনগণ।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরানে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নাম লেখান বেশ কয়েকজন প্রার্থী। তার মধ্যে ছয়জনকে অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে একেবারেই শেষ মুহূর্তে এসে সরে দাঁড়ান দুইজন।
শুক্রবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চার প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত অস্থায়ী ফলাফল অনুসারে, ২ কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, মধ্যপন্থী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান এক কোটিরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ৯০ লাখ ৪০ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন কট্টরপন্থী কূটনীতিক সাঈদ জালিলি।