আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বয়সজনিত শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে খারাপ পারফরমেন্সের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকেও পরামর্শ দেওয়া হয় বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য। এর মধ্যেই বাইডেন জানিয়ে দিলেন, কোথাও যাচ্ছেন না, শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব চাপ উপেক্ষা করে নির্বাচনী লড়াইয়ে ‘শেষ পর্যন্ত’ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন।
বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণা টিমের উদ্বিগ্ন সদস্যদের করা এক কলে বলেছেন, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরছেন না; এই কলের বিষয়ে জানানে এমন দুই ব্যক্তির বরাত দিয়েছে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসে বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার পর এই জুটি ডেমোক্র্যাট প্রচারণা শিবিরের সঙ্গে কলে যোগ দেন। এখানে বাইডেন পরিষ্কার করেন তিনি নির্বাচনী দৌড়ে থাকছেন আর হ্যারিস বাইডেনের প্রতি তার সমর্থন পুনব্র্যক্ত করেন।
“আমি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী। কেউ আমাকে বের করে দেওয়ার জন্য ঠেলছে না। আমি সরছি না,” বলেছেন তিনি; কলের বিষয়ে জ্ঞাত একজন জানিয়েছেন বিবিসিকে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর বাইডেন-হ্যারিস প্রচারণা শিবিরের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি তহবিল সংগ্রহের ইমেলে বাইডেন একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন; বলেছেন, “এটি আমাকে যতটা সম্ভব সহজভাবে ও পরিষ্কারভাবে বলতে দিন: আমি এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেষ পর্যন্ত থাকছি।”
মেইলে ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে হারাতে সমর্থকদের কাছে আরও সহায়তা চান বাইডেন।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ২৪ জন ডেমোক্র্যাট গভর্নর ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির মেয়রের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ও ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করেন এবং তিনি নির্বাচনী দৌড়ে থাকছেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন। এই গভর্নরদের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার গ্যাভিন নিউসোম এবং মিশিগানের গ্রেচেন হুইটমারও ছিলেন।
তবে বৈঠক শেষে মাত্র তিনজন গভর্নর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। নিউ ইয়র্ক, মিনেসোটা ও মেরিল্যান্ডের এই গভর্নররা জানান, গত সপ্তাহের বিতর্কে বিপর্যয়ের পর তাদের মধ্যে পরিষ্কার কথাবার্তা হয়েছে এবং তারা বাইডেনের পাশে আছেন।
বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছেন কি না, বুধবার এমন প্রশ্নে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জন-পিয়ার বলেন, “একেবারেই না।”
তিনি একথা বলার কিছুক্ষণ পর জাতীয় পর্যায়ের দুটি জরিপের ফল জানায়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা কমেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জরিপ জানিয়েছে, ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে ৪২ শতাংশ জনসমর্থন পাওয়া বাইডেনকে হারাতে যাচ্ছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস/ সিয়েনার জরিপ দেখেছে, বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্পের অগ্রগামিতা আরও তিন শতাংশ বাড়ার পর জনমত ৪৯ শতাংশ ও ৪৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।