আন্তর্জাতিক ডেস্কঃপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করতে চলেছে সরকার। একইসঙ্গে ইমরান এবং প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদের আওতায় দেশদ্রোহের মামলাও হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
সোমবার মন্ত্রী বলেন, পিটিআই পাকিস্তানে অবৈধ উৎস থেকে বিদেশি তহবিল পাচ্ছে- এমন অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ হওয়ায় এবং গত বছর সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশানা করে পিটিআই সমর্থকদের দাঙ্গা-হাঙ্গামার ভিত্তিতে দলটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মামলা করবে। প্রয়োজনে এটি মন্ত্রিসভা ও সুপ্রিম কোর্টে যাবে।
৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পিটিআই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কারণ দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি পায়নি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রায়ে দলটি পার্লামেন্টে ২০টিরও বেশি সংরক্ষিত আসন পেয়েছে। এটি দুর্বল জোট সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সংরক্ষিত আসন প্রদানের সিদ্ধান্তের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা কী প্রভাব ফেলবে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। সরকার সংরক্ষিত আসন নিয়েও আইনি পর্যালোচনা চাইবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
গত আগস্ট থেকে কারাবন্দি ইমরান খান অবৈধভাবে তৃতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ থেকে শনিবার খালাস পেয়েছেন। তবে তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ কর্তৃপক্ষ নতুন আদেশ জারি করে তাকে আবারও গ্রেফতার করেছে।
২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসা ইমরান খান ২০২২ সালে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মতবিরোধের পর পার্লামেন্টে আস্থাভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়েছে।