আন্তর্জাতিক ডেস্কঃপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন ভারতের রাজধানী দিল্লির এক আইনজীবী। দিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ দায়ের করেছেন দিল্লি সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল।
বুধবার (২৮ আগস্ট) কলকাতার মেয়ো রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন, বাংলায় যদি আগুন লাগান কোনো রাজ্যই থেমে থাকবে না। বাংলায় আগুন লাগলে আসাম, উত্তরপ্রদেশ, উড়িষ্যা, বিহার, ঝাড়খন্ডসহ উত্তর-পূর্ব থেমে থাকবে না ও দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেবো।
উল্লেখ্য, বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি বিজেপি আগুন লাগায় তাহলে ‘থেমে থাবে না’ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোও।
আর এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একের পর এক পালটা তোপ দেগেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।
গতকাল টিএমসিপির মঞ্চ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কেউ-কেউ মনে করছেন, এটা বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংস্কৃতি, আমাদের সংস্কৃতি এক।
তিনি বলেন, কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র। ভাবতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। মোদীবাবু, আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন? মনে রাখবেন, বাংলায় যদি আগুন লাগান, আসামও থেমে থাকবে না।
মমতা বলেন, উত্তর-পূর্বও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহারও থেমে থাকবে না। ঝাড়খণ্ডও থেমে থাকবে না। ওড়িশাও থেমে থাকবে না। আর দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেব।
এই আবহে মমতাকে পালটা জবাব দিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, উত্তর-পূর্বকে হুমকি দেওয়ার সাহস কী করে হল দিদি আপনার?
তিনি লিখেছেন, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি। প্রকাশ্যে উত্তর-পূর্ব এবং বাকি জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আপনাকে। অবিলম্বে বিভেদমূলক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও লিখেছেন, সহিংসতা এবং ঘৃণা উস্কে দেওয়া বন্ধ করতে হবে মমতাজি। একজন রাজনৈতিক নেতার পাবলিক প্ল্যাটফর্মে সহিংসতার হুমকি দেওয়া অত্যন্ত অপ্রীতিকর।
এদিকে মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, তৃণমূল সরকারের নারী বিরোধী আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি প্রতিবাদ করে বলেছেন, ওড়িশার সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? ওড়িশা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানকার মানুষ দায়িত্ববান।