নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা পালানোর পর কিছু লোক ব্যাক্তিগতভাবে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। তাদেরকে সাংগঠনিক শাস্তি প্রদান করা হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারন জনগনের জান মালের ক্ষতি না করতে পারে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হয় সে জন্য আমি আমার নেতা কর্মীদের নিয়ে এলাকায় স্বোচ্চার ছিলাম অখচ কয়েকটি খবরের কাগজে চাঁদাবাজী, দখলবাজীর কাল্পনিক ঘটনা উল্লেখ করে সেখানে আমার নাম জড়ানো হয়েছে যা খুবই দূর্ভাগ্যজনক ও বৈষম্যর শিকার। ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে উত্তরার ৯ নং সেক্টর তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিএনপি নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
লিখিত বক্তব্য তিন বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভূতপূর্ব অবস্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আবু সাঈদ,ওয়াসিম ও মুগ্ধসহ অনেক মেধাবী ছাত্র জনতার জীবনের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ছাত্র জনতার আন্দোলনে প্রাণ দেওয়া সকল শহীদদের। আমি আরো স্মরণ করতে চাই গত দের যুগ ধরে চলমান স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও গুম হওয়া বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীদের যারা জীবন দিয়ে এই আন্দোলনের পটভূমি রচনা করে গেছেন।
তিনি বলেন. ঢাকা-১৮ আসনে গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আমি বিএনপিকে সুসংগঠিত করে আসছি। বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারা দেশের নেতাকর্মীদেরকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যারাই নির্দেশনা অপমান্য করে অসাধু কাজে লিপ্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। আন্দোলন চলাকালে ১৮ই জুলাই উত্তরা থেকে ডি বি পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে নির্মমভাবে অত্যাচার করে। ৬ আগস্ট আমি জেলখানা থেকে মুক্তি পাবার পর থেকে ঢাকা ১৮ আসনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর সহ অন্যান্য বাহিনীর সাথে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে সহযোগিতা প্রদান করে আসছি। আমি এই আসনে সাতটি থানার সকল এলাকায় চাঁদাবাজি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে মাইকিং করে প্রচারণা করেছি। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, আমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার নেতাকর্মীদের স্বোচ্চার করেছি ও জনসাধারণকে সেনা ক্যাম্পে অভিযোগের নাম্বার প্রদান করেছি।
আরো আরো বলেন, দলের প্রতি তার ত্যাগ ও আন্তরিকতা দেখে গত উপনির্বাচনে দল তাকে ধানের শীষের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। ঢাক-মহানগর উত্তরে লাখ লাখ নেতাকর্মী রয়েছে, একজন কর্মী হিসেবে তার সাথে ও হাজার হাজার নেতা কর্মী রয়েছে। কেউ যদি ব্যাক্তিগতভাবে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কোন অপকর্মে লিপ্ত হলে সেই দায় দল বা আমি নিবো না। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদেরকে বলেন আপনারা জাতীর দর্পন। আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আগামীদিন এগিয়ে যেত চাই। আপনার সত্য সংবাদ প্রচার করে জাতীকে এগিয়ে নিবেন। এসময় তার সংক্রান্ত কোনো সংবাদ প্রচারের পূর্বে সেটার সত্যতা যাচাই করে নেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন।