সিটিজেন প্রতিবেদকঃ ঢাকা সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আজকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের মূল আলোচনা ছিল তাদের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির সঙ্গে। বিশেষ করে আর্থিক সংস্কার, আর্থিক খাতে যে সহযোগিতা দরকার সেটা।
‘দ্বিতীয় বাণিজ্যের, আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন এবং বাণিজ্য বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগুবো, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন,’ যোগ করে তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ বছরের জন্য ৯৫৪ মিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, যে চুক্তি আগে হয়েছিলো, সেটার সঙ্গে আরও ২০০ মিলিয়ন যোগ করা হয়েছে। তার মানে, আরও বাড়তি টাকা তারা দেবে।
এছাড়া কর সংস্কার ও অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর বলেন, আমরা সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এর আওতায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে। এ চুক্তি মূলত সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য।
চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা।
বাংলাদেশের নব উদ্যমে পৃষ্ঠপোষকতা দেবে যুক্তরাষ্ট্রবাংলাদেশের নব উদ্যমে পৃষ্ঠপোষকতা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
‘আমরা স্বাস্থ্য, শাসন ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তরুণদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে তারা যাতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে সেদিকে নজর দিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ এখানে মূল অগ্রাধিকার,’ যোগ করে অঞ্জলি।
১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ‘অর্থনৈতিক প্রযুক্তিগত এবং সম্পর্কিত সহায়তা’ শীর্ষক একটি আমব্রেলা চুক্তির অধীনে বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং শাসনের মতো বিভিন্ন খাতে এখন পর্যন্ত আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।