মাসুদ পারভেজ(উত্তরা)ঃগত কয়েক বছর যাবত উত্তরার নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বাসাবাড়িতে চলছে গ্যাসের চরম সংকট। ভোক্তাদের গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ও বার বার ব্যার্থ হয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। ঢাকার কেরানীগঞ্জ,সোনারগাঁও সাভার আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে সংযোগ বিছিন্ন ও জরিমানা অব্যাহত থাকলেও এখনো পর্যন্ত উত্তরা এলাকায় এমন অভিযান দেখা যায় নি। স্থানীয়রা জানান, তিতাসগ্যাস কম্পানীর অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে আতাঁত করে এখানকার বিভিন্ন ফ্যাক্টরির মালিকেরা তাদের চাহিদা মেটাতে গ্যাস পাইপের মুখে শক্তিশালী রাইজার বসিয়ে অবৈধ পন্থায় গ্যাস টেনে নিয়ে যাওয়ার কারণে উত্তরখান দক্ষিণখান তুরাগসহ উত্তরার বাসাবাড়িতে সারাদিন গ্যাস সরবরাহ থাকে না। এর ফলে মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাসের তীব্র সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে সারা দেশে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া নানান উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, তিতাসগ্যাস কম্পানীর অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনো সরকার কেন ব্যবস্থা নেয়নি এবিষয়ে তারা ক্ষুব্ধ। তারা আরো বলেন,বাজারে রয়েছে ৬-৭ টি সিলিন্ডার গ্যাস কম্পানী। লাইনে গ্যাস সরবরাহ না থাকলে বাধ্য হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হবে। বেশী মুনাফার আশায় এসব সিলিন্ডার গ্যাস কম্পানীর সাথে আতাঁত করে ও তিতাস গ্যাস কম্পানীর অসাধু কিছু কর্মকর্তা ইচ্ছা করে উত্তরা এলাকায় লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে। সরেজমিনে উত্তরার বিভিন্ন এলাকা গিয়ে দেখা যায়, এখানকার বেশির ভাগ মানুষ গার্মেন্টস কর্মী, অটোরিকশা চালক ও চাকুরজীবী। তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না প্রতিমাসে সরকারী ১০৮০/- (একহাজার আশি) টাকা গ্যাস বিল পরিশোধ করে তার উপর বাড়তি ১৫০০/- টাকা দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কেনা। ফলে তারা অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জ্বালানি নিরাপত্তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিল পরিশোধের তাগাদা দিয়ে বার বার পেট্রোবাংলা কোম্পানীর তিতাসগ্যাস কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা করলেও উত্তরার বাসাবাড়িতে গ্যাস সংকটের দিকে তাদের নজর নেই বল্লেই চলে।
এখানকার বাসিন্দারা বলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তা ও অবৈধ ব্যবসায়ীদের আতাঁতে উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর এলাকা এবং এখানকার নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বাসাবাড়িতে প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস থাকে না।
এসময় এখানকার গৃহবধূরা গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে উঠে এবং সরকারের সমালোচনা করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর অন্যতম ঘনবসতি এলাকা উত্তরখান হযরত শাহ কবির মাজার চৌরাস্তা ,কাঁচকুড়া, মাউসাইদ,আটিপারা, দক্ষিণখান,কোটবাড়ি, মোল্লারটেক, হলান, কাওলা,আসকোনা,ডুমনি, নিকুঞ্জ, খিলখেত এলাকায় ভোর ৫ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস থাকে না। এছাড়াও হরিরামপুর, তুরাগ, দলিপাড়া,কামারপাড়া,
বাউনিয়া ও নলভোগ এলাকায় প্রতিদিন দুপুর ২ টার পর অল্প সময়ের জন্য লাইনে গ্যাস দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় গ্যাসের চাপ থাকে অনেক কম। কখনো কখনো সন্ধ্যা থেকে রাত ১/২ টা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস থাকেনা।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে পরিবর্তন আসলেও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখনো রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে সারা দেশের ন্যায় উত্তরার বাসাবাড়িতে চলছে গ্যাসের চরম সংকট। নিরুপায় হয়ে প্রয়োজন মিটাতে তারা সিলিন্ডার গ্যাস ও ইলেক্ট্রিক চুলার দিকে ঝুঁকছে।গ্যাসের অভাবে এখানকার গৃহীনিরা রান্না করতে পারছেনা,গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে চলছে চরম হাঁ হাঁকার।
এসময়,কখনো কখনো গ্যাসের মাসিক বিল পরিশোধ করা নিয়ে বাড়িওয়ালা- ভাড়াটিয়ার সাথে মাঝে মাঝে তুমুল ঝগড়া বিবাদ হতেও দেখা যায়। দীর্ঘ দুই বছর যাবত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে উত্তরার নতুন ওয়ার্ডের বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ অনেক কম। সরেজমিনে দেখা যায়, এখানকার ফ্ল্যাটবাড়ির বেশির ভাগ বাসায় গৃহবধুরা ইলেক্ট্রিক চুলায় রান্না করছেন।এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলছেন নিরুপায় হয়ে বাসা বাড়িতে গ্যাসের পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ ইলেক্ট্রিক চুলায় রান্না করার কারণে বিদ্যুতের উপর চাপ পড়ছে।
এছাড়াও গ্যাসের জন্য গভীর রাত পর্যন্ত বসে থাকতে থাকতে অনেক গৃহীনি অসুস্থ হয়ে উঠেছে।দক্ষিণখান আজমপুর কাঁচাবাজার এলাকার গৃহিণী লিপি আক্তার ও লামিয়া, ট্রান্সমিটার এলাকার বাসিন্দা স্বপন, উত্তরখান মিয়াবাড়ি তালতলা এলাকার বাসিন্দা কল্পনা আক্তার, দলিপাড়া এলাকার গৃহবধূ স্বর্না, নয়ানগর এলাকার স্বপ্নন ও আলম,কাওলা এলাকার রোমানা বলেন,গত কয়েকদিন যাবত ভোর ৫ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস থাকে না। আবার সন্ধ্যা ৬-৭ টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত গ্যাসের অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতে মাথা গড়ম হয়ে যায়। এসময় তারা আরো বলেন, আমরা গরীব মানুষ, যে বেতন পাই কোন মতে সংসার চালাই, গ্যাস সিলিন্ডার কেনার সামর্থ্য আমাদের নেই। লাইনে গ্যাস আসার অপেক্ষায় প্রতিদিন রাত জেগে থাকতে হয়। এ সমস্যা থেকে তারা মুক্তি চাই।
এ সময় গার্মেন্টকর্মী স্নেহা, মিতালী, ফাতেমা, আয়শা, সানজিদা, সেলিনা,মুক্তা,জান্নাত, রিপাসহ শত শত মানুষ বলেন,একদিকে বৃষ্টির পানিতে সড়কে কাঁদামাটির কারণে ভাংগা চুড়া রাস্তায় চলাচল করা যায় না, অন্যদিকে গ্যাসের জন্য রাত জাগতে জাগতে অসুস্থ হয়ে গেছি।স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, অদৃশ্য কারণে গত দুই বছর যাবত সকাল থেকে সারাদিন উত্তরার বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়িতে চুলা জ্বলে না। এ সংকটের কারণে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে উত্তরখান দক্ষিণখান খিলখেত নিকুঞ্জ তুরাগ হরিরামপুরের লাখ লাখ মানুষ।এলাকার স্থানীয়রা বলেন,একদিকে সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া বড় বড় গর্ত ও বৃষ্টির পানি জমে এখানকার নাগরিক জীবন প্রায় অচল।
প্রায় দশ লক্ষ লোকের বসবাস ঢাক-১৮ আসনের অন্তর্গত ডিএনসিসির নতুন ১৮ টি ওয়ার্ডে। দীর্ঘ দিন যাবত অবহেলিত উত্তরখান, দক্ষিণখান, হরিরামপুর ও ডুমনি এলাকার নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে অপরিকল্পিত খোড়াখুঁড়ি ও জলাবদ্ধতার পাশাপাশি নতুন করে গ্যাস ও পানি সংকট যুক্ত হওয়ায় মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ সংকটের কারণ হিসেবে এখানকার বাসিন্দারা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। তারা আরো বলেন, তিতাস গ্যাস ট্রাসমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’র কর্মকর্তারা এলাকার শতাধিক অবৈধ ফ্যাক্টরীতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের সহযোগীতায় গড়ে উঠা অবৈধ ফ্যাক্টরী গুলোতে দিনে রাতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
তারা আরো বলেন, এখানকার ফ্যাক্টরীতে দেয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন হলেই এলাকার গ্যাস সংকট দূর হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, বেকারি,ওয়াস, ডায়িং ও ছোট বড় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী। এখানকার স্থানীয় বাড়ির মালিকগণ বলেন, ব্যাঙের ছাতার মত আবাসিক এলাকায় এলোপাথাড়ি ভাবে গড়ে উঠা ফ্যাক্টরী গুলোতে দিনে রাতে গ্যাস সরবরাহ থাকলেও এলাকার বাসা বাড়িতে সকাল থেকেই আমরা গ্যাস পাই না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়
গ্যাস সংকটের কারণে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এখানকার স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী, কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী , নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ ও গার্মেন্টস কর্মীরা। সকাল থেকেই বাসা বাড়িতে গ্যাস না থাকার কারণে এখানকার বেশির ভাগ পরিবারে নাস্তা বানানো হয় না।
এ বিষয়ে তিতাস ট্রাস্টমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর কর্মকর্তারা বলেন,উত্তরার ডুমনি, খিলখেত তুরাগ, কামারপাড়া, উত্তরখান মাজার,হেলাল মার্কেট, চানপাড়া ও দক্ষিণখান হলান, মোল্লাবাড়ী এলাকার বেকারি, ওয়াস এবং ডায়িং ফ্যাক্টরীগুলোতে অভিযান চালাবে তারা। অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য পেলে সংযোগ বিছিন্ন সহ মালামাল জব্দ করা হবে সে সাথে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ডিএনসিসির ৪৮ নং ওয়ার্ড সরদারবাড়ি, নগইড়াবাড়ী, হলান,সোনা খোলা, ৪৭ নং ওয়ার্ড কোটবাড়ী, চৌয়ারীরটেক, ফায়দাবাদ, চালাবন ও পূর্ব আজমপুর এলাকায় ভোর ৫ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সন্ধ্যা থেকে রাত ১-২ টা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস থাকে না। নতুন ওয়ার্ডের বহুতল ভবনের একাধীক বাড়ীর মালিক ও ভাড়াটিয়ারা বলেন, গত এক বছর যাবত সকাল সন্ধ্যায় বাসা বাড়ির চুলায় আগুন জ্বলে না। এখানকার বাসা বাড়ীতে গ্যাস সংকটের কারণ হিসেবে তারা বলেন, ফ্যাক্টরীর মালিকেরা প্রভাব খাটিয়ে গ্যাস পাইপের মাথায় শক্তিশালী কমপ্রেসার লাগিয়ে গ্যাস টেনে নিয়ে যায়। প্রতিদিন লাইনের গ্যাস চুরি হওয়ার কারণে এ সব এলাকার বাসা বাড়িতে গ্যাস সংকট দিন দিন বেড়েই চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর উত্তরখান হেলাল মার্কেট, বালুমাঠ,মিয়াবাড়ি তালতলা, মাস্টারবাড়ি,আটিপাড়া ময়নারটেক, চানপাড়া, চামুরখান বড়বাগ। দক্ষিণখান নগইরাবাড়ী, আজমপুর হলান, প্রেমবাগান, তুরাগ দলিপাড়া বাউনিয়া ও নলভোগ এলাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অবৈধ ছোট বড় নানান ফ্যাক্টরী। এ সব ফ্যাক্টরীর ময়লা পানিতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও পাশে অবস্থিত তুরাগ নদীর পানি।
ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠো অনুমোদনহীন শত শত ওয়াশ, ডাইং ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে তিতাস গ্যাস, ওয়াসা ও ডেসকোর তদারকি না থাকায় অবৈধ ফেক্টরীর মালিকেরা এতটাই বেপরোয়া তাদের বিরুদ্ধে বাড়িওয়ালারা কথা বলার ও সাহস পায় না।
উত্তরার দলিপাড়া বাউনিয়া, উত্তরখান চানপাড়া, ময়নারটেক হেলাল মার্কেট কাঁচকুড়া, দোবাদিয়া, দক্ষিণখান কাওলা নগইড়াবাড়ী, হলান,প্রেমবাগান, কাঁচাবাজার ফায়দাবাদ ও কোটবাড়ি এলাকার স্থানীয়রা বলেন এক বছর আগে ও শুক্রবার শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনে চব্বিশ ঘণ্টা বাসা বাড়িতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস,বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ছিলো। অদৃশ্য কারণে গত এক বছর যাবত এলাকার বাসাবাড়িতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে না।
তারা আরো বলেন, সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে আবাসিক এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এসব মিনি গার্মেন্টস ও ওয়াস ফ্যাক্টরীতে দিনে রাতে গ্যাস টেনে নিয়ে যায়। ভাড়াটিয়ারা বলেন, প্রতিমাসে তারা প্রতিটি ডাবল চুলার বিল পরিশোধ করছেন, এছাড়াও তারা আক্ষেপ করে বলেন, সামান্য বেতনে চাকুরি করে বর্তমানে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির ৪৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলী আকবর বলেন,নতুন ওয়ার্ড গুলোকে ঢেলে সাজাতে মেঘা প্রকল্পের কাজ চলছে। এসময় যে সব ফ্যাক্টরীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তুরাগ থানার ৫৪ নং ওয়ার্ড কামারপাড়া, রানাভোলা, সুইসগেইট, ৫৩ নং ওয়ার্ড নয়ানগর, নলভোগ এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস থাকেনা। আবার কখনো কখনো সন্ধ্যা থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ থাকে না। উত্তরখান ৪৫ নং ওয়ার্ড বালুমাঠ মিয়াবাড়ি তালতলা,হেলাল মার্কেট,আটিপাড়া,বড়বাগ মাজারপাড়া,গাজীপাড়া, আর্মি সোসাইটি, চেরাগীপাড়া এলাকার ভুক্তভুগি বাড়ীর মালিক ও ভাড়াটিয়ারা জানান পেট্রোবাংলা কোম্পানীর তিতাসগ্যাস কর্তৃপক্ষের সিন্ডিকেট ভেঙে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন ও জরিমানা করতে পারলে উত্তরার বাসাবাড়িতে গ্যাস সংকট থাকবে না।