সিটিজেন প্রতিবেদকঃ পোশাক শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে বর্তমানে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকায় উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের তৈরি পোশাক খাতে ৩০ থেকে ৪০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে বেশ কিছু ক্রয়োদেশও অন্য দেশে চলে গেছে। এমন দাবি তৈরি পোশাক মালিকদের।
তিনি বলেন, আমাদের শিল্প কিন্তু ভাল নেই। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের অংশীদারিত্ব কমেছে। ইউরোপে আমদানি বাড়লেও আমাদের শেয়ার কমেছে সেই বাজারে। আমাদের ৪০০ মিলিয়ন ক্ষতি হয়েছে। তবে আশা করছি সরকারের সহায়তায় তা কাটিয়ে উঠব।
সংবাদ বলা হয়, যে সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতায় বিজিএমইএ বোর্ড বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য বিজিএমইএ বোর্ড সরকার ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্রেতারাও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর আস্থা রাখছেন। বিজিএমইএ বোর্ডের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারের নির্দেশনায় পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গঠন হয়েছে এবং যৌথবাহিনী গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিতভাবে টহল পরিচালনা করেছে। বিজিএমইএ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং চালু করেছে।
সংবাদ সম্মেলেনে আরও বলা হয়, পোশাক কারখানাগুলোতে আগস্টের বেতন পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বিজিএমইএ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয় ও বিজিএমইএ বোর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন। বিজিএমইএ’র অনুরোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্টের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম অসন্তোষে আশুলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না। বিজিএমইএ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ৩৯টি পোশাক কারখানাকে সুদবিহীন সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিককে ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।