মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

মুরগির বাচ্চায় দিনে ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট : বিপিএ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১ বার পঠিত

সিটিজেন প্রতিবেদকঃ দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দাম রেখে ক্রেতার পকেট থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যদি সরকার এ সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। অথচ, পরবর্তী সময়ে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী করপোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৬০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করছে।

বিবৃতিতে বিপিএ সভাপতি দাবি করেন, প্রতিদিন সব জাতের মুরগির বাচ্চা ৩০ লাখ উৎপাদন করা হয়। যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোলট্রি খাত বর্তমানে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ (কাজী ফার্মস, নাহার অ্যাগ্রো, প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, সিপি বাংলাদেশ) আরও ১০ থেকে ১২টি করপোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোল্ট্রি সেক্টরে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সুমন হাওলাদার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। যা প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বিক্রয় মূল্য অত্যন্ত কম থাকায় প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এ সংকটের কারণে বহু প্রান্তিক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।

এ অবস্থায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিও জানানো হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে–

১. ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

২. কপোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিক ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. প্রান্তিক খামারিদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা এবং বিশেষ প্রণোদনা চালু করতে হবে।

৪. সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে ডিম, মুরগি এবং পোল্ট্রি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে আরও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com