লাইফস্টাইল ডেস্কঃ শীত ভালো করে না পড়লেও, ঠোঁট ফাটা কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যেই। শীতের ঋতুতে পা ফাটার সঙ্গে নিয়মিত ঠোঁট ফাটার সমস্যাতেও ভোগেন অনেকেই। তবে গোলাপি সুন্দর ঠোঁট সবারই কাম্য। গোলাপি একজোড়া ঠোঁটে হাসি ভালো লাগতে বাধ্য। আজ জানাবো কিছু ঘরোয়া টোটকা যার মাধ্যমে কিন্তু সহজেই ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে আপনি পাবেন গোলাপের মতো সুন্দর ঠোঁট।
ময়েশ্চারাইজেশনঃ আর্দ্রতার অভাবে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। ঠোঁটে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা জোগাতে সারা বছরই লিপবাম দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে প্রতিদিন আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ঠোঁট কখনোই বারবার জিভ দিয়ে ভেজাবেন না।
ম্যাসাজঃ প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত পাঁচ মিনিট ঠোঁট ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটে আমন্ড বা বাদামের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। নিয়মিত এই তেল ব্যবহারে ঠোঁটের কালচে দাগ কমে আসবে।
লিপস্টিক রিমুভঃ প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে এসে আপনার ঠোঁট থেকে লিপস্টিক বা লিপগ্লস তুলে ফেলুন। তুলায় সামান্য পরিমাণে অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল লাগাতে পারেন। ঠোঁটের কালো হওয়া প্রতিরোধে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ঠোঁটের প্রসাধনী তুলে ফেলতে হবে।
গোলাপের পাঁপড়িঃ গোলাপের মত ঠোঁট পেতে চাইলে গোলাপ ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপের পাঁপড়ি ঠোঁটে গোলাপি ভাব আনতে সাহায্য করে। দুধের মধ্যে পাঁপড়ি রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে বেটে নিন। এই পেস্ট আপনার ঠোঁটের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট হবে কোমল ও মসৃণ।
লেবুর রস ও চিনিঃ ত্বকের মতো ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতেও লেবুর রস খুবই কার্যকর। লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। যতক্ষণ না চিনি গলে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ঘষতে থাকুন। এতে ঠোঁটের মৃত কোষ উঠে যাবে।
অ্যালোভেরা জেলঃ তাজা অ্যালোভেরা জেল অল্প পরিমাণে নিয়ে ঠোঁটের ওপর লাগিয়ে নিন। মিনিট পনের রাখুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারলে ঠোঁটের কালচে ভাব অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
সানস্ক্রিনঃ ত্বকের মতো ঠোঁটকেও সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য যে লিপবাম ব্যবহার করবেন তাতে অবশ্যই যেন এসপিএফ থাকে, তা নিশ্চিত করুন।
বরফঃ যেকোনো দাগ-ছোপে নিয়মিত বরফ ঘষলে তা দ্রুত হালকা হয়ে যায়। প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে বরফ ঘষুন। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।