সিটিজেন প্রতিবেদকঃ র্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে।আর র্যাবের নিজস্ব কোনো আইন নেই। পুলিশ আইনে র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। র্যাবের জন্য আমরা আলাদা একটি আইন করার চিন্তা-ভাবনা করছি। এছাড়া আর কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করা যায় সেজন্য গণমাধ্যম ও জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
র্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি র্যাবে কর্মরত আছি, আমাদের দায়িত্ব নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবো। এ ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সেই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবো।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বের) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, পোশাকের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যারা পোশাকটি পড়বেন তারা। আমরা প্রতিদিন ইউনিফর্ম পড়ি, আপনারা প্রতিদিন প্যান্ট শার্ট, স্যুট, পায়জামা-পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোশাক পড়েন। একজন ভালো ব্যক্তি যে পোশাকই পড়েন না কেন আমরা ভালো জিনিসে পাবো। কিন্তু একজন খারাপ ব্যক্তি যে পোশাকই পরেন না কেন আমরা ভালো জিনিস কিন্তু পাবো না। এখানে পোশাকের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যক্তির মানসিকতা। এরপরও আমরা র্যাবের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি।
শহিদুর রহমান বলেছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে গুম ও খুনের। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনসহ সেসব বিষয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি।
তিনি বলেন, সব কিছু সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হতে চাই। আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো, কারও নির্দেশে এসব অপরাধে র্যাব আর জড়িত হবে না— সেটি আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
গত কয়েকদিন ধরে র্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনের অভিযোগের পাশাপাশি র্যাবের আয়না ঘর প্রসঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে র্যাবের বক্তব্য কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, র্যাবে আয়না ঘর ছিল, আছে। সেটা সেভাবেই রাখা হয়েছে। গুম, খুন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে আয়না ঘরসহ যা যে অবস্থায় আছে সেভাবেই রাখার জন্য। আমরা কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন করিনি। যা যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থাতেই রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— র্যাব এডিজি (অপারেশন্স) কর্নেল ইফতেখার আহমেদ, পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।