সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সব সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ রোববার ১৫ ডিসেম্বর সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
এরই মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে কমিটি গঠন করেছে অর্থ বিভাগ। কত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে সেটি কমিটি ঠিক করবে বলেও জানিয়েছেন মোখলেস উর রহমান।
জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘মহার্ঘভাতা’ সংস্থানের বিষয় পর্যালোচনা করতে কমিটি গঠন করে অর্থ বিভাগ। প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।
মোখলেস উর রহমান বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারি সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি সুখবর দিতে চাই যে, একটা পে কমিশন করা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। অন্তর্বর্তী সময়ে একটা মহার্ঘ ভাতা কমিটি করা হয়েছে, যেখানে আমি আছি। সামনের সপ্তাহে আমরা প্রথম মিটিং করবো। সেখানে আমরা একটি বাস্তবায়ন কৌশল এবং আপার লিমিট-লোয়ার লিমিট ঠিক করে অফিসার স্টাফ স্ল্যাব ঠিক করা হবে। তবে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
তিনি বলেন, এবার যাতে মহার্ঘ ভাতা সুবিধা অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পান সেই ব্যাপারে সরকার একমত। এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী। যাতে এটা ইমিডিয়েট দেওয়া যায়। আমাদের চেষ্টা থাকবে অল্প সময়ের মধ্যে সরকারকে সাজেশন দেওয়া, যাতে বাস্তবায়ন করতে পারেন। এটা যত তাড়াতাড়ি করা যায় তত ভালো।
একেবারে পিয়ন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা সুবিধা পাবেন। তবে এটার স্ল্যাব (স্তর) দুটো হতে পারে। একটা অফিসারদের জন্য একটু কম এবং স্টাফদের জন্য একটু বেশি যাতে ব্যালেন্সিং হয়। আর একটা হবে পেনশনারদের জন্য। আমরা আগামী সপ্তাহে যদি প্রথম বসি, দুইটা-তিনটার বেশি মিটিং লাগবে না। এটা দীর্ঘসূত্রিতার বিষয় না।
পেনশনারদের মহার্ঘ ভাতার আওতায় আনার বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, পেনশনারদের এবার অন্তর্ভুক্ত করা হবে কারণ তারা এমনি অসুস্থ, তাদের নানা ধরনের খরচ চিকিৎসা, ভাড়া… কিন্তু তাদের কোনো উপার্জন নেই। তাদের টাকার বেশি দরকার।