সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সদ্য বিদায়ী বছরের বেশিরভাগ সময়েই অস্থিতিশীল ছিল ডিমের বাজার। ডজন প্রতি ডিমের দাম উঠে গিয়েছিল ১৮০ টাকায়। দাম বেঁধে দেয়ার পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বাজার। তবে নভেম্বরে ১৮ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হলে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়। তবে নতুন বছরের শুরুতেই আবারও ডজনে ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদার।
বিপিএ সভাপতি বলেন, ‘আসন্ন রমজান উপলক্ষে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরের ২০ পয়েন্টে এবং পরে পর্যায়ক্রমে ১০০ পয়েন্টে সীমিত লাভে ডিম, ফ্রোজেন মুরগি ও অন্যান্য কৃষিজাতপণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো খাদ্য ও বাচ্চার পাশাপাশি ডিম ও মুরগি উৎপাদন করছে। ফলে ছোট খামারিরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছেন না। এজন্য করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ফিড ও বাচ্চার উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। যাতে প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারেন।
ডিম, মুরগি, রমজান, বাজার, রাজধানী, কৃষিরমজানে ঢাকার ১০০ পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে ডিম-মুরগি বেচবে বিপিএ
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফিড ও মুরগির বাচ্চার অযৌক্তিক মূল্য বাড়ানো হয়, যা প্রান্তিক খামারিদের জন্য বড় সমস্যা। এ কারণে খামারিরা তাদের উৎপাদন খরচ সামাল দিতে পারছেন না। এ সিন্ডিকেট বন্ধ করে খামারিদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ফিড ও বাচ্চা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
খামারিদের জন্য একটি সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সুমন হাওলাদার বলেন, খামারিদের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তার জন্য ঋণ ও ভর্তুকি ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। ক্ষুদ্র খামারিদের উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দেওয়া হলে তারা দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সহ-সভাপতি বাপ্পি কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস খন্দকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. কাউছার আহমেদসহ বিভিন্ন জেলার খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।