দুর্ঘটনার পর পর ১৭ ব্যাচের সার্জেন্ট জাকারিয়া সজিব রাইদা বাসটি আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানার এস আই মনিরের হাতে সপর্দ করেন।
বাস ড্রাইভারের নাম কবির হোসেন( ৪২)। দুর্ঘটনার পর সে বাসটিকে নিয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সার্জেন্ট সজিব তাকে মোটরসাইকেল যোগে ধাওয়া করে জনসাধারণের সহায়তায় উত্তরা আধুনিক মেডিকেল হাসপাতালের সামনে থেকে আটক করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজ সকাল ৯.১৫ মিনিটের সময় উত্তরা জমজম টাওয়ার চৌরাস্তা বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও তেহারি ঘর বরাবর সড়কের উপর এ ঘটনা ঘটে। সুত্রে জানা যায়, নিহত জেনেদা প্রতিদিনের মতো বাসা বাড়ির কাজ শেষ করে জমজম টাওয়ার মোড় রাস্তার দক্ষিণ পাশ থেকে আইলেন্ড পার হয়ে উত্তর পাশে যেতে সড়কের নামে। এ সময় রাস্তার পশ্চিম পাশ থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা রাইদা পরিবহন বাসটি তাকে চাপা দেয়। এতে তার মাথা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় স্থানীয় পথচারীরা জানান দেশ ব্যাপী নিরাপদ সড়কের পক্ষে আন্দোলন চলমান থাকলেও বাস চালকদের লাইসেন্স নিয়ে কমই কথা বলা হয়। পথচারীরা আরো বলেন, কোন ধরনের রুট পারমিট ও ফিটনেস ছাড়াই উত্তরার সড়কে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে রাইদা পরিবহনের শতাধিক বাস। ভুক্তভুগিরা বলেন, ইতি পূর্বে রাইদা পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারের হাতে নাজেহাল হয়েছে অনেক যাত্রী। গাড়ির গতি নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা যাত্রীদের সাথে খারা আচরণ করে। এছাড়াও ভাড়া নিয়েও তারা যাত্রীদের সাথে বাক বিতর্কে জড়ায়। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, উত্তরা থেকে চলাচলকারী রাইদা পরিবহনের বেশীর ভাগ ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।যাত্রীরা জানায় বেশীরভাগ সময় তারা হেলপার দিয়ে গাড়ি চালায়। প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, আটককৃত বাসটি থানার ডাম্পিংএ রয়েছে।
থানা পুলিশ সুত্রে আরো জানা যায়, এঘটনায় আইন গত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।সুত্র ইনকিলাব