ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুরে ঘুষ লেনদেনের সময় টাকা সহ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটর আটক ।মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও :ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শেরিকুজ্জামান ও অডিটর মো. হান্নানকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৭ মার্চ) হরিপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতির নিকট ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও জেলা দুর্নীতি কমিশনের একটি দল তাদের আটক করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক জোহরা খাতুনের অবসর ভাতা প্রক্রিয়াকরণের জন্য শেরিকুজ্জামান ও হান্নান ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। দর-কষাকষির পর ২২ হাজার টাকায় রফা হয়।
১৭ হাজার টাকা আগেই দেওয়া হয়েছিল। বাকি ৫ হাজার টাকা দিতে গেলে দুদকের দল তাদের হাতেনাতে আটক করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরিকুজ্জামান ও হান্নান যোগদানের পর থেকে ঘুষ লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে তারা ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিতেন। এ ছাড়া যেকোনো কাজের জন্য সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিতেন । অভিযোগ রয়েছে, শেরিকুজ্জামান নিজেকে ‘মহাশক্তিধর’ মনে করতেন এবং প্রায়ই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাগ্নে পরিচয় দিতেন। তবে সরকার পতনের পর তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা হিসেবে দাবি করেন। এর আগে শেরিকুজ্জামান ও আরেক অডিটর মজিবর রহমানের ঘুষ লেনদেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিলেন।
জোহরা খাতুনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম রংপুর বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে ঘুষের বিষয়ে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। অভিযোগের তদন্ত হলেও শেরিকুজ্জামান বহাল তবিয়তে ছিলেন এবং মজিবর রহমানকে বদলি করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয় মো. আজমির শরিফ মারজী, সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই এই অফিসের ওপর নজর রাখছিলাম। দীর্ঘ তদন্তের পর নিশ্চিত হয়েই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃত ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।