হাফসা (উত্তরা)নিষিদ্ধ সংগঠন ইসকন সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার
অভিযোগে চাকরিচ্যুত হলেন আনন্দ টিভির সাবেক ডিএনই প্রশান্ত কুমার। এছাড়াও আর্থিক অনিয়ম, চাকুরী প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে আনন্দ টিভির ডেপুটি নিউজ এডিটর (ডিএনই) প্রশান্ত কুমার দাস কথার বিরুদ্ধে।
একাধিক অভিযোগের কারণে
তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২ টায় প্রশান্ত কুমার দাস কথাকে অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত মোতাবেক বরখাস্ত করা হয়। আনন্দ টিভির কার্যালয়ের বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, গত বছর ২৪ শে সেপ্টেম্বর ডেপুটি নিউজ এডিটর পদে আনন্দ টিভিতে যোগদান করেন প্রশান্ত কুমার দাস কথা। যোগদানের পর থেকে তিনি টিভির মালিক কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ বিভাগে একক ক্ষমতাধর ব্যক্তি বনেযান। শুরু হয় তার চাঁদাবাজী, সংবাদ পাঠিকাদের নিয়োগ নিয়ে তাদের নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতীক সম্পর্ক গড়ে তোলা, অযাচিত ও ভুলভ্রান্তি সংবাদ প্রচার করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত সংগঠন ইসকন সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার বেশ কিছু তথ্য প্রমান কর্তৃপক্ষের হাতে রয়েছে।
তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষর ও ইসকন সদস্যদের সংবাদ প্রচার এবং রাষ্ট্র বিরোধীমনা প্রতিনিধি নিয়োগ ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি (ইসকন সদস্য)কে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে আইডি কার্ড প্রদান করেন। র্যাবের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সংবাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজীর মতো গুরুত্বর অভিযোগ উঠে আসে তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচারন, সিটি রিপোর্টারদের মানষিক চাপ প্রয়োগ, সংবাদ পাঠিকাদের নিজ রুমে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা, সংবাদ পাঠিকাদের সাথে অশ্লীল টেক্সট চ্যাট ও তাদের বাসায় যেয়ে একান্ত সময় কাটানোর মতো অভিযোগ করেন চ্যানেলের অনেক রিপোর্টার।
এ সব অভিযোগের সত্যতা ও সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় কর্তৃপক্ষ প্রশান্ত কুমার দাস কথাকে চ্যানেল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে চ্যানেল সুত্রে জানা গেছে। তাকে বরখাস্ত করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্টাফ রিপোর্টার, সিটি রিপোর্টার, সকল প্রতিনিধির মধ্যে সস্তির নিশ্বাস বইছে বলে অনেকে জানান। প্রতিনিধিরা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সাধুবাদ জানিয়ে এ ধরনের ব্যক্তিকে বহিস্কার করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে চ্যানেল সংশ্লিষ্ট শুভানুধ্যায়ীরা মনে করেন ।