হাফসা (উত্তরা): ভিএফএস ওয়েবসাইটে ভিসার আবেদন করতে না পেরে
জাপানে উচ্চ শিক্ষায় গমনেচ্ছুদের VFS এপয়েন্টমেন্ট সিন্ডিকেট কর্তৃক হয়রানির স্বীকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার
দুপুর ১২টায় গুলশানের ডেল্টা টাওয়ারের সামনে প্রতিকার চেয়ে তারা এ মানব বন্ধন-কর্মসূচী পালন করেন।
এ সময় তারা ভিএফএস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানান ধরনের কাগজে লেখা প্লে কার্ড ও ভেনার হাতে নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে শান্তি পূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন।
ভুক্তভোগীরা ভিসা প্রার্থীরা সংশ্লিষ্টদের নিকট ৬টি দাবি জানান।
তাদের দাবি সমুহ হলো :
১.COE (Certificate of Eligibility) বের হলেই ভিসা দিতে হবে।
২.ক্লাস শুরুর আগেই ভিসা ইস্যু করতে হবে। ৩.এপ্লিকেশন জমা দেয়ার ১ (এক) সপ্তাহের মধ্যেই ভিসা দিতে হবে।
৪.ওয়েব সাইটের স্লট সব সময় ওপেন রাখতে হবে।৫.এপয়েন্টমেন্ট সরাসরি এম্বাসী কর্তৃক দিতে হবে। ৬.বিএফ এস এর হয়রানি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে।
জাপান বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী পড়া-শুনার জন্য জাপান গমন করেন।
গত ফেব্রুয়ারী ২০ তারিখে জাপান সকরার কর্তৃক ইস্যু কৃত COE (Certificate of Eligibility) অফার লেটার পেয়ে অনেকে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা জাপানের ঐ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৈধভাবে পাঠিয়েছি।
ভুক্তভোগীরা বলেন,
এখন পর্যন্ত ভিসার জন্য VFS এপয়েন্টমেন্ট সিন্ডিকেট কর্তৃক হয়রানির স্বীকার হয়ে ৮০০ শতাধিক শিক্ষার্থী এপ্লিকেশন জমা দিতে পারেনি।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , জাপানে ইতিমধ্যে তাদের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। নেপাল-শ্রীলংকাসহ অন্যান্য দেশের ছাত্ররা ক্লাসে জয়েন করে ফেলেছে,অথচ তারা এখনো ভিসার জন্য আবেদনেই করতে পারছে না।
ভুক্তভুগীরা আরো বলেন, আমরা ১ বছর যাবৎ জাপানি ভাষা শিখে জাপান সরকার কর্তৃক ইলিজিবল হয়ে সবাই টিউশন পাঠিয়ে দিয়েছি।সেখানে যেতে না পারলে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যাবে। আত্মহত্যা করা ছাড়া আমাদের আর গতি থাকবে না। আমাদের একটাই প্রশ্ন সব কিছু ঠিক থাকার পারও আমরা কেন জাপান যেতে পারছি না?
উল্লেখ যে, গত ৩ নভেম্বর থেকে জাপান এম্বাসী vfs global কে ডকুমেন্ট জমা নেয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন।
কিন্তু vfs তাদের ওয়েব সাইটে দেখাচ্ছে আগামী ২ মাসে কোন স্লট খালি নাই, তাহলে আমরা কিভাবে এপ্লিকেশন জমা দিবো। এইজন্য আজকে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি অতি দ্রুত আমাদের ভিসা দিয়ে জাপান যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোউক।
সম্প্রতি বাংলাদেশী ছাত্ররা ভিসা পাইতে সমস্যা হচ্ছে বিধায় জাপানের অনেক স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে ছাত্র ভর্তি নিতে অনাগ্রহতা প্রকাশ করছেন। এতে বাংলাদেশ হারাতে বসেছে একটি বিশাল শিক্ষা ও শ্রম বাজার। তাই আমাদের উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো আশু সমাধান দরকার।
এখানে উল্লেখ্য যে, যে সব ছাত্ররা জাপানে পড়া-শুনার জন্য যাচ্ছে প্রতিটি ছাত্র মাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকা দেশে প্রেরণের মাধ্যমে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন।