হাফসা (উত্তরা)২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে আওয়ামী লীগের সংঘটিত গণহত্যার তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে “জুলাই ব্রিগেড” নামের একটি সংগঠন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,
জুলাই ব্রিগেডের অন্যতম সংগঠক নূর মুহাম্মাদ,
অন্যতম সংগঠক সোয়াথ মাহমুদ শাইখ,অন্যতম সংগঠক লাবীব মুহান্নাদ,
অন্যতম সংগঠক রিয়াদ ও নাহিদ।
সমাবেশ শেষে, বিক্ষোভকারীরা
নারেয়ে তাকবির
আল্লাহু আকবর।
দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেব রক্ত
রক্তের বন্যায়,ভেসে যাবে অন্যায়।
শাপলা তোমায় ভূলবোনা
বিচারহীনতা মানবোনা।
বিচার চাই বিচার চাই
গনহত্যার বিচার চাই।
সুশীলতা বন্ধ করো,
গনহত্যার বিচার করো।
সু-শীলতা বন্ধ করো,
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর।
এক যুগ পার হলো
খুনিরা বাইরে কেন?
1234,গণহত্যাকারী No more
1234, আওয়ামী লীগ No more
চব্বিশের হাতিয়ার,গর্জে ওঠো আরেকবার।
শাপলার হাতিয়ার,গর্জে ওঠো আরেক বার স্লোগান দিতে দিতে শহীদ মীর মুগ্ধ মঞ্চ গিয়ে মিছিল শেষ করে।
জুলাই ব্রিগেডের অন্যতম সংগঠকরা বলেন,
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনাটি এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
ঐ রাতে তৎকালীন
রাষ্ট্রীয় শক্তির নগ্ন ব্যবহার করে স্বৈরাচার হাসিনা গণমানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে গণহত্যা করে। পরবর্তী সময়ে সত্য গোপনের চেষ্টা সবকিছুই আমাদের ইতিহাসে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।
তারা আরো বলেন, এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি, দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন,
এই প্রেক্ষাপটে, “জুলাই ব্রিগেড” বিশ্বাস করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
আজ ৫ই মে সোমবার শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচার চেয়ে উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে বিকাল ৪ টায় শান্তি পূর্ণ সমাবেশ করেছে “জুলাই ব্রিগেড” উত্তরা। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে
বিশৃঙ্খলা এড়াতে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ও
পূর্ব থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপ্রিয়কর ঘটনা ঘটে নি।