তরিক শিবলী
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজি ও কাঁচা মরিচের দাম।
বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। কাঁচা মরিচের দাম বেড়ছে ৩ গুনের বেসি।সব ব্যবসায়ীদের একই কথা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে সব ধরনের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মরিচের। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে কাঁচা মরিচ এখন আমদানি করতে হচ্ছে। তাই বাজারে কাঁচা এখন মরিচের দাম বেড়ে কেজি আড়াইশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,কেবল কাঁচা মরিচিই নয় বাজারে সব ধরনের সবজির দরই বাড়তির দিকে। পাকা টমেটো ১৩০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা। বেগুন, শসা ঝিঙের কেজি একশ টাকার কাছাকাছি। হঠাৎ বন্যার প্রভাবে রাজধানীর বাজারে এমন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। তবে বাড়তি দামের বাজারে তুলনামূলক কমে পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ।
রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে দেখা যায়, বন্যার প্রভাবে সবজির মধ্যে সব থেকে বেশি বেড়েছে বেগুনের দাম। দুই সপ্তাহ আগে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০-৮০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের মধ্যে বেগুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
বেগুনের এমন দাম বাড়ার বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী জহির বলেন, মরিচের মত বেগুন খেতেও পানি জমলে নষ্ট হয়ে যায়। গত কয়েকদিনের বন্যা ও বৃষ্টিতে বেগুনের অনেক খেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বেগুনের দাম বেড়ে গেছে।
বেগুন, শসা, টমেটো ও গাজরের মতো করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। ঝিঙ্গা, ঢেঁড়স, উসি ও ধুন্দুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। ককরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। এ সবজিগুলো গত এক সপ্তাহ ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত থাকা সবজির মধ্যে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। আর বরবটির ৬০-৭০ টাকা কেজি, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা পিস।
মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের এখন আড়াইশ গ্রাম কাঁচা মরিচে ১৫ টাকার বদলে প্রায় ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বেড়েছে সব ধরনের সবজির দামও। কিছুদিন আগেও যে সবজি ৩০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। এতে সাধারণ মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সাইদুলের দোকানে এক কেজি দেশি শসা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও ৫০ টাকা ছিল। সে হিসাবে দাম এখন দ্বিগুণ। হঠাৎ সবজির বাজার এত চড়া কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
কৃষি মার্কেটে পদ্মা ব্রয়লার হাউসে এক ডজন (১২টি) ফার্মের মুরগির ডিম ১২৫ টাকা, এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ২৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। একই বাজারে চীনা রসুন ১৭০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ টাকা, চীনা আদা ১৪০ টাকা, থাইল্যান্ডের আদা ১৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও ভারতীয় বড় পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।