বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

ঋণ বিতরণ কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
  • ২৭০ বার পঠিত

ডেস্ক : ব্যাংক খাতে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে ঋণ খেলাপি। এ কারণেই কমছে ব্যাংকের ঋণ বিতরণ। তিন মাসের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ কমেছে ৬২ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩০ জুনের পরে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭১ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। গত মার্চে এর পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। মাত্র তিন মাসে দেশে ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ৬২ হাজার ২২ কোটি টাকা। অন্যদিকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। যা বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগে গত ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা।বর্তমানে দেশে ৬২টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংক ৪৪টি, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ৯টি এবং অবশিষ্ট বাকি ৯টি হলো বিদেশি ব্যাংক।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণ কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত। ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ার অর্থ হলো বিনিয়োগ কমে যাওয়া। আর বিনিয়োগ কমে গেলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও কমে যাবে। প্রবৃদ্ধি কমে গেলে কর্মসংস্থান বাড়বে না। অনেকটা ধারাবাহিকভাবে ঋণ বিতরণ কমে যাচ্ছে। আর ঋণ বিতরণ কম হওয়ার মানেই হলো দেশে বিনিয়োগ কম হচ্ছে। কেননা আমাদের দেশে বিনিয়োগ হয় মূলত ব্যাংকিং খাতের অর্থায়নের মাধ্যমে। বিনিয়োগ না হওয়া মানে হলো দেশের প্রবৃদ্ধি হবে না, প্রবৃদ্ধি না হওয়া মানে কর্মসংস্থান বাড়বে না। কর্মসংস্থান না বাড়লে দেশ পিছিয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সরকার প্রবৃদ্ধির যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে তা অন্য সূচকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলো কড়াকড়ি আরোপ করছে এটা সত্য, তবে দেশে ঋণের চাহিদাও খুব একটা নেই তা বলা চলে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো দেশে বিনিয়োগ কম হচ্ছে। ক্রেডিট গ্রোথ ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে ঋণ বিতরণ কমেছে, এটা অর্থনীতির জন্য অবশ্যই খারাপ। ব্যাংকিং খাতের প্রধান সমস্যা এখনো খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণের কারণে ঋণ বিতরণে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। তবে চলতি প্রান্তিকে ডিপোজিট গ্রোথ তুলনামূলক ভালো হচ্ছে বলে জানান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com