মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

প্রাথমিকের পাঠদান হবে আনন্দঘন পরিবেশে

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ২৮১ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদানের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।

জানা গেছে, প্রতিটি ক্লাসের পর শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট করে বিশ্রাম পাবে। এ সময়ে তারা খেলার ছলে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনীমূলক কাজে নিয়োজিত থাকবে। ইতোমধ্যে দেশের তিন জেলায় চারটি বিদ্যালয়ে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু করা হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম আনন্দপূর্ণ করার কার্যক্রম শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে মডেল হিসেবে মাগুরা জেলার হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়িগ্রামে কুড়িগ্রাম ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নেত্রকোনায় ৩৬নং বালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুনভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুটিন ও পাঠাদান কার্যক্রমে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে শরীরচর্চা ও ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ক্লাস শুরু হয়ে থাকে। কোথাও ৩৫ মিনিট আবার কোথাও ৪৫ মিনিট করে বিষয় ভিত্তিক ক্লাস করানো হয়ে থাকে। বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীদের স্কুল ছুটি দেয়া হয়।

দেখা গেছে, মডেল এ চার বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শরীরচর্চা শেষে ১০টায় ক্লাস শুরু হবে। মাঝে ৩০ মিনিট খেলার জন্য বিশ্রাম দেয়া হবে। এরপর পাঠদানের জন্য প্রতিটি বিষয়ের জন্য ক্লাস সময় ৪৫ মিনিট করে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট করে বিশ্রাম পাবে। সে সময়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে নিয়োজিত করা হবে। শিক্ষার্থীদের পচ্ছন্দ অনুযায়ী খেলার ছলে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা হবে। বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে ক্লাস শেষে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন সিটিজেন নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে একঘেয়েমি দূর করতে ক্লাসের সময় ও খেলার ছলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। মডেল হিসেবে চার বিদ্যালয়ে নতুন রুটিন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরবর্তী দুই মাস মনিটরিং করা হবে। এতে সফলতা আসলে যেখানে একটি শিফটে বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে সেখানে নতুন রুটিন অনুযায়ী পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। এভাবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের ৬৫ হাজার ৫৯০ সরকারি বিদ্যালয়ে এ পদ্ধতি চালু করা হবে।

সচিব বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে আনন্দপূর্ণ করতে আমরা এমন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদানের সুযোগ পাবে। ক্লাসের জন্য নির্ধারিত ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি ক্লাসের পর শিক্ষার্থীরা ১৫ মিনিট বিশ্রাম পাবে। এতে করে শিক্ষকরা পরবর্তী ক্লাসের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে। শিক্ষার্থীরাও এ সময়টা খেলার ছলে নতুন জ্ঞানার্জন করতে পারবে। এ জন্য বিদ্যালয়গুলোকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হবে বলেও জানা তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

আজ থেকে স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু, নেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটা সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এই প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—এবার ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন—২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম-নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দক্রম দেওয়া যাবে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি কোনো স্কুলেই একটি শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকে শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার এ কোটা সুবিধা পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্বাচন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এরপর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে। মেধা-অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনর্ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশই ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। তাছাড়া বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে এবার কোটা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে। জানা যায়, প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী লটারিতে অংশ নিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেন সব অভিভাবক। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এবার তারা লটারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সময় স্বল্পতার কারণে অভিভাবকদের দাবি এবার বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব না হলেও আগামীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com