কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে ২৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১৩৩টি মামলা রয়েছে। প্রার্থীদের দায়ের করা হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, জামায়াত অনুসারী তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা ও সন্ত্রাস দমন আইনে ৭৭টি মামলা রয়েছে। আরেকজন প্রার্থী এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে ২৬ মামলা।
এছাড়া হত্যা, নারী নির্যাতন, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপ, মাদক কারবার, অস্ত্রবাজি, প্রতারণা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধসহ নানা অভিযোগে ২০ কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরও ৩০টি মামলা আছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ১৭টি মামলা।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরীর কাছে সম্প্রতি দাখিল করা হলফনামায় প্রার্থীরা মামলার এ তথ্য দিয়েছেন। নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন ১২০ জন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খান সাংবাদিকদের বলেন, দলীয় লোক ছাড়া সাধারণ ভোটাররা একজন প্রার্থীকে সবদিক বিবেচনা করেই ভোট দেবেন।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর জামায়াতের সদস্য কাজী গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা ও সন্ত্রাস দমন আইনে ২৭টি মামলা আছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর জামায়াতের সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা আছে ২৫টি।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ একরাম হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ২৫টি মামলা আছে। একরাম একসময় ছাত্রশিবির করতেন। এলাকায় তিনি জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচিত। এই তিন প্রার্থীই টানা দুই মেয়াদে নিজ নিজ ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন।
২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও যুবদল নেতা মো. বিল্লালের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, বিস্ফোরক আইনসহ নানা অভিযোগে মামলা আছে ২৬টি।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারটিসহ মোট পাঁচটি মামলা আছে।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুস সত্তারের বিরুদ্ধে গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে হত্যার ঘটনায় দুটি খুনের মামলা আছে।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল হাসানের বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা আছে। এছাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সরকার মাহমুদ জাবেদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা আছে।