নিজস্ব প্রতিবেদক :জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে দায়সারা আয়োজনে জাতীয় ভোটার দিবস পালন করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আয়েশা খাতুন।
দাওয়াত করে এনে ছাত্র সমন্বয়কদের ব্যবহৃত গেঞ্জি দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্র জনতার নেতৃবৃন্দরা । স্থানীয়রা বলছেন আয়োজকরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অবহেলার চোখে দেখা নাকি অন্যকিছু।
‘তোমার আমার বাংলাদেশে ভোট দিবো সবাই মিলে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২ মার্চ (রোববার) সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে র্যালী ও আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫ জনকে দাওয়াতপত্রের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানান নির্বাচন অফিসার। ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে লেখা সম্বলিত টি-শার্ট পড়ে র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। ওই র্যালীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫ জন সমন্বয়ক অংশগ্রহন করেন। তাদের মাত্র তিনটি টি-শার্ট দেয়। পরে ওই সমন্বয়ক ছাত্ররা নির্বাচন অফিসার আয়েশা খাতুনকে টি-শার্ট ৩ টি ফেরত দিতে গেলে তিনি বাধ্য হয়ে তাদের অফিসের কর্মচারীদের গা থেকে টি-শার্ট খুলে তাদের দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই টি-শার্ট গুলি না নিয়ে সাংবাদিকদের নিকট এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্র জনতার প্রতিনিধিরা।
উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক আরাফাত ইসলাম বলেন, জাতীয় ভোটার দিবসে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমাদের পনেরো জনকে দাওয়াত করে। সকলে র্যালি ও সমাবেশের অংশগ্রহণ করার সময় মাত্র তিনজনকে টি-শার্ট পরতে দেয়। এ নিয়ে সবার মধ্যে গুঞ্জন শুরু হলে, পরে ওই নির্বাচন অফিসার অফিসে ডেকে কর্মচারীদের ব্যবহৃত টি-শার্ট খুলে দিয়ে আমাদের পড়তে বলে। এতে আমরা অপমানিত হয়েছি ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র শাহিনুর আলম জানান, নির্বাচন অফিসার দাওয়াত করার সময় বলেছিলেন আপনাদের ১৫ টি-শার্ট দেওয়া হবে। সেই মোতাবেক ১৫ জনই এসেছি। তিনি আমাদের মাত্র তিনটি টি-শার্ট দিয়েছে বাঁকীরা এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আয়েশা খাতুন বলেন, তারা সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারে নি। সে জন্য তাদের টি-শার্ট দেয়া সম্ভব হয়নি। যে কয়টি ছিল সেগুলো দিয়েছি। পরে বাঁকীদের দিতে চেয়েছি তারা না নিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষেতলালের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।