নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে জামালপুর-ঢাকা-জামালপুর রুটে। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে জামালপুর এক্সপ্রেস নামের নতুন এ ট্রেনটি চালু হবে। একইদিন উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক নতুন কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপন, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে ঢালারচর পর্যন্ত এবং ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা রাজবাড়ী এক্সপ্রেস নামে ভাঙ্গা পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এসব উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রেল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরিফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জামালপুর এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল সাড়ে ১০টায়, জামালপুর পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে এবং জামালপুর থেকে ছাড়বে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে, ঢাকা পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১১টায়। ট্রেনটির বিরতি স্টেশনের মধ্যে রয়েছে- বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, ভূঞাপুর, হেমনগর, অ্যাড. মতিউর রহমান, তারাকান্দি, সরিষাবাড়ি। ট্রেনটিতে এসি চেয়ার ১১০টি ও শোভন চেয়ার ৫১০টি সহ সর্বমোট ৬২০টি আসনের ব্যবস্থা থাকবে। রোবাবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে ট্রেনটি।
তিনি আরও জানান, জামালপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে। তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু, সেতু পূর্ব-টাঙ্গাইল হয়ে নতুন রুটে ঢাকা-জামালপুরের মধ্যে আন্তঃনগর এ ট্রেনটি পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলসমূহের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পারবে। নতুন এ ট্রেনে ব্যবহৃত মিটারগেজ কোচসমূহ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ার পিটি ইনকা হতে সংগৃহীত।
আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত এ কোচ দ্বারা আন্তঃনগর জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে রেল ব্যবস্থায় বাংলাদেশ রেলওয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা সংবলিত প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে মেইন ও টয়লেটের প্রশস্ত দরজা এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে রয়েছে পরিবেশবান্ধব বায়ো-টয়লেট এবং আধুনিক ও উন্নতমানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট সংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
এছাড়াও ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা রাজবাড়ি এক্সপ্রেস নামে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে পাবনা জেলার ঢালারচর পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচলরত উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক নতুন আমদানিকৃত কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।