রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে সম্মত জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়ার ওপর আবার নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৩ বছর পর ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সবার সতর্ক থাকা জরুরি : আমিনুল হক মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থীর পাশে “আমরা বিএনপি পরিবার” অবসরপ্রাপ্ত ৭৮ কর্মকর্তার পদোন্নতির সুপারিশ যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা এনবিআরের ৪১ অতিরিক্ত কর কমিশনার বদলি সম্প্রতি ফ্লাইটসমূহে কারিগরি ত্রুটির প্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গৃহীত পদক্ষেপ

প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ে শান্তির পায়রা উড়িয়েছেন : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৬১ বার পঠিত

 
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা এখন উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার খুলে দিয়ে সংকটকে সম্ভবনায় রূপ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারের সড়ক উন্নয়ন বিষয়ক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারির বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।

তিনি বলেন, ‘এগিয়ে যাচ্ছে সম্ভবনাময় পার্বত্য এলাকা। শান্তিচুক্তি অধিকাংশ শর্ত ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের সমস্যা ও নিষ্পত্তির চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। চুক্তির অবশিষ্ট শর্তগুলো বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্গম পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা এখন উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার খুলে দিচ্ছেন। সংকটকে রূপ দিচ্ছেন সম্ভবনায়।’

মাঝে মাঝে পার্বত্য এলাকায় যে কলহ দেখতে পাই তাতে উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া কঠিন। আপনারা কলহে লিপ্ত থাকলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে এবং শান্তিচুক্তির অবশিষ্টাংশ বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিন পাব্যত্য জেলায় রাজস্ব আয় বাড়ানোর অসীম সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আর তাই, শেখ হাসিনার সরকার পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। বাস্তবায়ন করছে বিভিন্ন প্রকল্প। এর আগে দেশের কোনো সরকারই পাহাড়ের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়নি। পাহাড়কে অশান্ত করে রক্ত ঝরিয়েছে। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনার শান্তির পারাবত উড়িয়েছেন। দুর্গমকে করেছেন সুগম।

প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে গৃহিত প্রকল্পটি চারটি প্যাকেজে বাস্তবায়িত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দুটি প্যাকেজের দরপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং দুটি প্যাকেজের মূল্যায়ন চলছে। অনুমোদনের পর দ্রুত কাজ শুরু করতে আমি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিচ্ছি।’
‘খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগ বাস্তবায়ন করছে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। জেলাব্যাপী ভঙ্গুর ৪৩ পিসি গার্ডার ও আরসিসি সেতু এবং ১৩টি বক্স কালভার্ট নির্মাণে ২১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া হয়েছে একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ প্রান্তে। ইতোমধ্যে ৩৩টি সেতু এবং ১৩ বক্স কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতি শতকরা ৯০ ভাগ। আশা করা যায় শিগগিরই এ প্রকল্পের চলমান কাজ শেষ হবে।’

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলার সীমান্ত ঘেঁষে প্রায় ৩১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর মধ্যে ১০০ কিলোমিটার লিংক রোড এবং ২১৭ কিলোমিটার সীমান্ত বরাবর। এরই মধ্যে প্রকল্পের অগ্রগতি শতকরা প্রায় ১৩ ভাগ।’

সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন আলীকদম-জালানীপাড়া-কুরুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়কের কাজের অগ্রগতি শতকরা ৭২ শতাংশ শেষ হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।

পর্যটন সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে কক্সবাজার হতে ইনানী পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ লক্ষে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভের শুরুতে সাগরের প্রবল ওয়েব একশনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান এলাইনমেন্ট ধরে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ সড়কাংশ নির্মাণ করার লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’

‘এছাড়া সমুদ্রসৈকত আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে কলাতলী হতে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ওয়েকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিবেশগত বিষয়াদি যাচাই বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে চলেছে। এর বাইরে আরও কিছু প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’

কক্সবাজারের ব্যাপকভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজও এখন আমাদের অগ্রাধিকার।’

তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারেকে ঘিরে শেখ হাসিনার সরকার মাস্টার প্লান গ্রহণ করেছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকারের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে দেশের পর্যটন শিল্প এবং সুনীল অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com