শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

লালমনিরহাটে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২
  • ১১৮ বার পঠিত

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা, স্বর্নামতি, রত্নাইসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদী বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টার ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ফলে জেলায় নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে

স্থানীয়রা জানান, এরই মধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পানি বিপদসীমার কাছাকাছি এবং বিকেল ৩টায় বিপদসীমা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে রাত ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। রাতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সকাল ৯টায় তা কমে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপরে রেকর্ড করা হয়েছে।জেলার ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সে. মি. উপরে রেকর্ড করা হয়েছে। রত্নাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গত কয়েকদিনে ৮/১০ টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরো ফসলি জমি ও বাড়িঘর।

এছাড়া জেলার বিভিন্ন নদী ও খাল, ডোবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী লোকজনের বাড়িঘর।

হাতীবান্ধার চর সিন্দুর্না আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার নদীর পানি বিকেল থেকে হু হু করে বেড়ে রাতে আরো বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কয়েকদিন থেকে রাতে ঘুম আসছে না চোখে। গত রাতে তিস্তা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন এর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, গতকাল সন্ধ্যা থেকে ক্রমে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের জুয়েল মিয়া বলেন, গত রাত থেকেই পানি বাড়ছে। এখন অনেক পরিবার পানিবন্দি। চলাচলসহ সবকিছু আটকে আছে।

এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে পানি বেড়েছে। পানিবন্দি মানুষজনের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বন্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, বন্যাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর মাঝে তালিকা তৈরি করে দ্রুত খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com