গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিল্লাল হোসেন বিলুকে (৩৫) হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল আজিজকে (৫৫) ২৭ বছর পর গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত (১৬ আগস্ট) আড়াইটায় নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের মৈশাদি গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১-এর সদস্যরা। র্যাব-১-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নোমান আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত বিল্লাল হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। আসামি আব্দুল আজিজ একই উপজেলার বাহাদুরসাদী গ্রামের মৃত আলফাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তারা উপজেলার খালপাড়া এলাকার ন্যাশনাল জুট মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
এএসপি নোমান আহমেদ বলেন, ‘১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর সকাল সোয় ৮টায় হত্যার ঘটনা ঘটে। ওইদিনই নিহতের ভাই জালাল উদ্দিন কালীগঞ্জ থানায় ফালান, কাদির, ছাদির, কালাম, বাজিত, আব্দুল আজিজ, ওসমান, আব্দুছ ছামাদ, হুমায়ুন ও রুস্তম আলীসহ ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর আব্দুল আজিজ নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে নরসিংদীর শিবপুরের মৈশাদি গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করে।’
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার দিন আসামি রুস্তম আলী লাউ চুরির বিষয়ে কথা আছে বলে বিলুকে তার বাড়ির কর্মচারি জাকারিয়ার মাধ্যমে আব্দুল আজিজের ভগ্নিপতি ঈশ্বরপুর বাজারের নিজাম উদ্দিনের ছাপড়া ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। অন্য আসামিরা আগে থেকেই ওই জায়গায় ছুরি, দা ও কুড়াল নিয়ে ওঁৎ পেতে ছিল। সেখানে পৌঁছালে বিলু ও তার কর্মচারি জাকারিয়ার সঙ্গে আসামি কাদির ও তার ভাই ছাদিরের লাউ চুরি বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আসামি ফালান তার হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে বিলুর মাথার পেছনে আঘাত করে। পরে দৌড়ে স্থানীয় জাতিন্দ্র বাবুর জমি পার হওয়ার সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা অভিযুক্ত আসামিরা বিলুকে পেছন থেকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় আব্দুল আজিজ ছুরি দিয়ে জবাই করে বিলুকে হত্যা করে।
ঘটনার পর গত ২৭ বছর পলাতক ছিল আব্দুল আজিজ। এ ঘটনায় জড়িত আট আসামি কারাগারে রয়েছে। অপর তিন আসামি ফালান, আলম ও মানিক পলাতক রয়েছে।