ক্রীড়া ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: গুরুত্বহীন এক ম্যাচ। দুই দলই ছিটকে পড়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। তবে এমন ম্যাচেও দর্শক বিনোদনের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। আফগানিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬ উইকেটে ৩১১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ক্যারিবীয়রা। অর্থাৎ সব ম্যাচ না হেরে দেশে ফিরতে হলে ৩১২ রান করতে হবে আফগানদের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ধীরে করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৩ বলে ক্রিস গেইল আর এভিন লুইসের ওপেনিং জুটি থেকে আসে মাত্র ২১ রান। ১৮ বল খেলে ৭ রান করেই সাজঘরে ফেরেন গেইল।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে শাই হোপের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেন লুইস। ক্যারিবীয় এই ওপেনার পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরিও। তবে ৭৮ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫৮ রান করার রশিদ খানের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
উইকেটে এসেই ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন সিমরন হেটমায়ার। মারকুটে ব্যাটিংই করে যাচ্ছিলেন। ৩১ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৯ রানে পৌঁছে যাওয়া এই ব্যাটসম্যানকে থামান দৌলত জাদরান।
এরপর ক্যারিবীয় ইনিংসের আরেক হাফসেঞ্চুরিয়ান শাই হোপকে রশিদের ক্যাচ বানান নবী। ৯২ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় হোপ করেন ৭৭ রান। ১৯২ রানে ৪ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ৬৯ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী এক জুটি গড়েন জেসন হোল্ডার আর নিকোলাস পুরান। ইনিংসের ৫ বল বাকি থাকতে একাই দৌড় দিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান পুরান। ৪৩ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় তিনি করেন ৫৮ রান। শাইদ শিরজাদের পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন ৩৪ বলে ৪৫ করা হোল্ডারও। তারপরও ক্যারিবীয়দের তিনশো পেরুতে কষ্ট হয়নি।
আফগানিস্তানের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল দৌলত জাদরান। তবে ২ উইকেট নিলেও তিনি ৯ ওভারেই খরচ করেন ৭৩ রান। ১০ ওভারে রশিদ খান ৫২ রানে নেন ১টি উইকেট।