বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৫:১২ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

কাউন্সিলর ডিএম শামীমের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪১ বার পঠিত

উত্তরা সংবাদ দাতা :

অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীমের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯, ঢাকায় এ মামলা করেছেন রুমা @ রোমানা ইসলাম জুই (২৮ ) বছরের এক যুবতী।আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) -কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকা মেট্রো উত্তর পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯, ঢাকায় গত ১০ অক্টোবর ডিএনসিসির কাউন্সিলর ডিএম শামীমকে (৫৩) প্রধান আসামি করে ভুক্তভোগী যুবতী রুমা @ রোমানা ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন । এ ছাড়াও এ কাজে কাউন্সিলরের সহযোগী হিসাবে শফিকুল ইসলাম (৩৮) ও মো. রুহুল আমিন (৫২) নামের দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে আরো জানা যায়, চলতি বছরের ২ মার্চ ‘কাউন্সিলরের উন্নয়নমূলক প্রতিবেদন’ তৈরীর সুবাদে ডি এম শামীমের সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। গত ৬ মার্চ সন্ধ্যায় কাজের টাকা দেওয়ার কথা বলে এ কাউন্সিলর মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীকে তাঁর অফিসে ডেকে আনেন । জরুরী কথা আছে বলে সন্ধ্যা ৭টায় কাউন্সিলর তার অফিসের দ্বিতীয় তলায় ভুক্তভোগীকে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে তৃতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে দরজা লক করে ছিটকিনি মেরে দেন। এরপর তিনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিখিয়ে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনা কাউকে জানালে কাউন্সিলর মেয়েটিকে হত্যার হুমকি দেন। একই সময় মেয়েটিকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে সেখান থেকে বিদায় করে দেন।

জানা যায়, ঘটনা পর থেকে কাউন্সিলর শামীম বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখিয়ে শুক্রবার ও শনিবার ভুক্তভোগী রুমাকে গাজীপুরের পুবাইলের শাহিনের বাংলো বাড়িতে নিয়ে যেতেন। সেখানে শফিকুল ইসলাম ও রুহুল আমি পাহারা দিতেন, এই দুই জনের সহযোগিতায় কাউন্সিলর মেয়েটিকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করতেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি অসহ্য হয়ে তাকে সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে
গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাউন্সিলর মেয়েটির ভাড়া বাসায় গিয়ে সেখানেও অস্ত্রের মুখে ফের তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ৫ অক্টোবর ভুক্তভোগী রুমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা শেষে গত ৭ অক্টোবর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ডিএনসিসির ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীমের সঙ্গে তার ব্যবহ্রত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ঢাকা মেট্রো উত্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, ‘আমরা মামলার কাগজ পেয়েছি মাত্র তিন চার দিন হয়। আদালত এ মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল রিপোর্টের জন্য আমরা হাসপাতালে আবেদন করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com