জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: সরকারের পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বামজোটের হরতাল পালনে সরকার দাবি মেনে নেবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘যে সরকারের ম্যান্ডেট নেই, সেই সরকার কী করবে, কী করবে না তা আমরা জানি না, তবে আমাদের এ সংগ্রাম এই পর্যায়ে থাকবে না। এর স্ফুলিঙ্গ দাবানলের আকারে একদিন ছড়িয়ে পড়বে। যদি সরকারের বোধগম্য না হয়, উপলব্ধি না হয় তাহলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। সুতরাং এখনো সময় আছে, জনগণের দাবি মেনে নেওয়ার।’
রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনস্বার্থে তারা এ হরতাল। এ হরতালে বিএনপির সমর্থন দিয়েছে, আমি এর আগেও বলেছি জনস্বার্থে যারা যেকোনো কর্মসূচি দেয় বিএনপি তাকে সমর্থন জানাবে একটা বৃহৎ বিরোধী দল হিসেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, আপনারা মধ্যরাতে নির্বাচন করবেন সেটা মেনে নিতে হবে, আপনারা একতরফা নির্বাচন করবেন সেটা মেনে নিতে হবে, আপনারা গ্যাসের দাম বাড়াবেন সেটা মেনে নিতে হবে, বিদ্যুতের দাম বাড়াবেন সেটা মেনে নিতে হবে, আপনারা কে, কারা? আপনাদের আচরণ দস্যুদের আচারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, গত বুধবার ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা) ট্রেনবহরে হামলার সম্পূর্ণ বানোয়াট ও প্রহসনের সাজানো মামলায় বিএনপির ৯ জনের ফাঁসি, ২৬ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে একটি আদালত। যে ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি, সেই মামলায় ফাঁসি হওয়ার কোনো আইন পৃথিবীতে আছে কিনা আমাদের জানা নেই। এ ধরনের রায় পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।
রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্র ও ক্ষমতাসীন দলের মধ্যকার পার্থক্যের অবসান ঘটেছে। রাষ্ট্র এক ব্যক্তি ও দল এখন একাকার। এক ব্যক্তির অঙ্গুলি হেলনে জঙ্গলের শাসন চলছে। বিরোধী দলকে নির্মূল ও নিশ্চিহ্ন করতে আদালতকে নগ্নভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে এক ভয়াবহ অশনি সংকেত সুষ্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো যেন অপরাধী ও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মর্যাদায় নামিয়ে আনা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, নাজমুল হক নান্নু, সহ-সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ, কার্যালয়ের স্টাফ মো. রুস্তুম আলী, রেজাউল করিম, মো. শামীম, মো. আজাদ, মো. তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।