কক্সবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীতে ৬ একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক ফায়ার স্টেশন ও পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অত্যাধুনিক মডার্ন ফায়ার স্টেশন নির্মাণে এরই মধ্যে সীমানা প্রাচীর দেওয়াসহ করা হয়েছে মাস্টারপ্ল্যান।

চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দিনুমণি শর্মা বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে টেকনাফের সাবরাং। এখানে রয়েছে বিশাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মেরিন ড্রাইভ চার লেনে উন্নীত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে যে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করবে, সেই যাত্রীদের বিভিন্ন দুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য মডেল ফায়ার স্টেশন গড়ে তোলার লক্ষ্যে জায়গাটি নির্বাচন করা হয়েছে। কক্সবাজার ও টেকনাফের মধ্যবর্তী এ স্থানে প্রায় ছয় একরের চেয়ে বেশি জমি ক্রয় করা হয়েছে। আশা করি, স্টেশনটি তৈরি হলে এই বৃহত্তর অঞ্চলের মানুষের অনেক উপকার হবে।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় এই এলাকার জনপদে আঘাত করে। তাদের দুঃসময়ে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। এই লক্ষ্য নিয়েই এই সুন্দর জায়গাটা বেছে নিয়েছি মডেল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জন্য। এরই মধ্যে যেখানে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। দেওয়া হচ্ছে সীমানা পিলার ও দেয়াল।

দিনুমণি শর্মা আরো জানান,কক্সবাজারে আধুনিকমানের মডার্ন ফায়ার স্টেশন ও পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সব ধরনের অত্যাধুনিক লজিস্টিক সাপোর্ট থাকবে। আধুনিক প্রযুক্তি সব ধরনের সরঞ্জামও মজুত থাকবে, যেন যেকোনো বিপর্যয়ে দ্রুত মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করা যায়। সবগুলো কাজ মাথায় রেখেই মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে।