শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০১:০৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে বাড়ছে লবণাক্ততা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯
  • ২৪৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী ভাঙনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। মিঠা পানির অভাবে উপকূল অঞ্চলে ধান চাষ কমে যাচ্ছে। আবার অনেকেই ধানের পরিবর্তে চিংড়ি অথবা সামুদ্রিক মাছ চাষ করছে। তবে সরকার খাদ্যনিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিতে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বদ্ধপরিকর।

বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইইবি) কৃষি কৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের লবণাক্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মাটির উপরিভাগে চাষযোগ্য ফসলের জন্য পানি সংরক্ষণের সেচ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অভিযোজন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন মানব সভ্যতার প্রতি বিশ্বের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বোচ্চ ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর একটি। দেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকুলীয় নিচু এলাকা। সেসব এলাকায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লোনা পানি বেড়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ ঘটনা ঘটছে। তবে উপকূলীয় এলাকায় এখন লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে এমন প্রজাতির ধান চাষ হচ্ছে, অনেকে ধান ছেড়ে চিংড়ি চাষ করছে, কোথাও বা বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হচ্ছে।

বক্রাো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করে কৃষির জন্য দুর্যোগপ্রবণ এলাকা তথা হাওর ও উপকূলীয় এলাকার চাষযোগ্য জমিকে উৎপাদন উপযোগী করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় ফসল উৎপাদন সচল রাখতে কৃষি প্রকৌশলী/গবেষকরা মেধা জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে পানি সাশ্রয়ী টেকনোলজি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থায় অবদান রেখে চলেছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইইবির প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক সদস্য (এনআরএম) ড. প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রকৌশলী খোকন কুমার সরকার।

এছাড়া আলোচক ছিলেন বিএআরআইয়ের সাবেক পরিচালক (গবেষণা) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এনএটিপি প্রকল্পের কনসালটেন্ট ড. প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আইইবি কৃষি কৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখের (শফিক) সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম মিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com