হাফসা : গত কয়েকদিন যাবত একাধারে অভিযান চালিয়ে বিমানবন্দর গোলচক্কর এলাকাটি হকার মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা আন্তজার্তিক বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের পি আই মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম লিটনের নেতৃত্বে।
পথচারী চলাচলের সুবিধার্থে ফুটপাত গুলোকে হকার মুক্ত করতে
অভিযানের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন,
বিমানবন্দর ট্রাফিক জোনের এসি শারমিব আকতার ও বিমানবন্দর ট্রাফিক বক্সের টি আই আমিনুর রহমান।
এতে বদলে গেছে বিমানবন্দর গোলচক্কর এলাকার চিত্র। সড়ক ও রেললাইন কোথাও ফুটপাতের নেই কোন চিহ্ন। নির্বিঘ্নে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সেখানকার ফুটপাতে নেই কোন অবৈধ দোকানপাট,নেই কোন যানজট। বিমানবন্দরের আসা যাত্রী ও পথচারীরা নির্ভয়ে চলাচল করছে।
এমন ঘটনায় স্থানীয় পথচারীরা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, বিমানবন্দর মহাসড়ক হকার মুক্ত থাকলে জনদূর্ভোগ কমে আসবে।
পুলিশ পরিদর্শক (শহরও যানবাহন) পিআই মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন,
বিমানবন্দর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার,সড়কে যান চলাচল সচল রাখা,
হকারের সাথে আলাপ আলোচনায় ফুটপাত পরিস্কার রেখে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করছেন আইসি মোঃ আব্দুল গফুর।
যোগদানের পর থেকেই তারা অনেক চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়মিত অভিযানের ফলে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমেছে। প্রতি মাসে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করেন তারা। গত মাসে ৩৮ জন ছিনতাইকারীও চলতি মাসের প্রথম ছয়দিনে আরও ১০-১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা।
এ সময় তিনি এখানকার আইসি আব্দুল গফুরের প্রসংশা করে বলেন,
আমাদের থানার অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি প্রতিমাসেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছ থেকে পুরস্কার পাচ্ছেন। ধীরে ধীরে
আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে।
পুলিশের মধ্যে এখনো অনেকে সমন্বয় করতে চান না, কেউ কারো কথা শুনতে চান না—এটা একটা বড় সমস্যা। একটি কাজ করতে গেলে রাজনৈতিক পক্ষ থেকেও বাঁধা আসে, আবার সাধারণ জনগণের দিক থেকেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। কেউ আমাদের আওয়ামী লীগের দালাল বলে, কেউ ফ্যাসিস্ট বলে—এসব চাপ মোকাবেলা করেই আমাদের কাজ করে যেতে হয়।তিনি আশাবাদী, সম্মিলিত চেষ্টায় এবং দায়িত্বশীল আচরণে এলাকাটি আরও বেশী নিরাপদ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবে।সুত্র ইনকিলাব