হাফসা উত্তরা :জুলাই যোদ্ধা মাওলানা মামুনুর রশীদকে কিছুসময় পূর্বে পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া জুলাই যোদ্ধা মামুনকে কিছুসময় আগে পূর্বাচল সেক্টর ওয়ান জামে মসজিদে তাকে পাওয়া যায়। এখন তিনি উত্তরা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও সাংবাদিক সমাজের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য আজ সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
*যার বিস্তারিত নিন্মরুপ:*
বাবা আমরা রাজনীতি বুঝি না
আমার ছেলেরে ফেরত দেও: মামুনের পিতা-মাতা
আমরা গ্রামে থাকি বাবা। পোলারে ঢাকায় লেখা-পড়া করতে পাঠাইছিলাম। পোলা পড়ালেখা করে ঢাকায় থাকতো। শুনছি সে আন্দোলন করছে। গ্রামের মানুষ কইত তোমার পোলা আন্দোলন করে। আমি কইছি বাবা আমরা নিরিহ মানুষ। আন্দোলন করা লাগবে না। বাবা আমরা রাজনীতি বুঝি না, আমার ছেলেরে ফেরত চাই।
রাজধানী তুরাগের ধউর এলাকা থেকে গত ২২ তারিখ গুম হওয়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তুরাগ থানার যুগ্ন আহবায়ক মাওলানা কে এম মামুনুর রশীদের পিতা মো: শফিক কান্না করতে করতে এসব কথা বলেন।
আজ সকাল ১০.০০ টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে নিখোঁজ মামুনের পরিবারের পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
এতে তার পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
মামুনের স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো ২২ তারিখ সকালে আমার স্বামী ফজর নামাজ পড়ে হাটাহাটি করতে বের হয়। এর পর থেকে আর তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। অনেক চেষ্টা করেও তাকে না পেয়ে
তুরাগ থানায় জিডি করি। পুলিশসহ প্রশাসনের লোকজন মাঝেমধ্যে বিভিন্ন তথ্য নেন। কিন্তু তার সন্ধান দিতে পারে না, আমি কিছু বুঝিনা আমি আমার স্বামীকে আমি ফেরত চাই। আজ আমি শাহবাগে আপনাদের সামনে এসেছি শুধু আমার স্বামীকে ফেরত পেতে। দয়া করে আমাদেরকে সাহায্য করেন। আমার সন্তানদের পিতাকে তাদের বাবার ভালোবাসা ও স্নেহ থেকে বঞ্চিত করবেন না। যে কোন মূল্যে আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই। জুলাই বিপ্লবের সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় একজন জুলাই যোদ্ধা গুম হবে, এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে আমার স্বামীকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুলাই যোদ্ধা মাওলানা মামুনুর রশীদ নিখোঁজ। অথচ বিপ্লবের নেতারা নিরব। এই নিরবতার কারণ আমরা জানতে চাই? পুলিশ এখন পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, কয়টি সিসিটিভি ফুটেজ কালেক্ট করেছে, তার আলোকে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা আমরা জানতে চাই?
এছাড়াও মানববন্ধনে আরও কথা বলেন জামায়াতে ইসলামী তুরাগ মধ্য থানা নায়েবে আমীর কামরুল হাসান,
মামুনের মা রোশন আক্তার, ভায়রা ভাই মাও:ইব্রাহিম খলিল, চাচাতো ভাই মাওলানা শরীফ, ছোট শ্যালক: হাসনাইন আহমেদ ও তার সহযোদ্ধা মাওলানা মাসুম বিল্লাহ প্রমূখ।