জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হচ্ছে বহরের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’। আগামী বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় উড়োজাহাজটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকাল ১১টায় ড্রিমলাইনারটি উদ্বোধন করবেন।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, ড্রিমলাইনারটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমানের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টিতে। দেশে পৌঁছার পর ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে। উড়োজাহাজটি দেশে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে পৌঁছেছেন। বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ড্রিমলাইনারটিকে স্বাগত জানাবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। ইতোমধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিমানের বহরে যুক্ত হয়ছে। চতুর্থ ও শেষ উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ বৃহস্পতিবার দেশে আসছে।
‘রাজহংস’ বিমানবহরে সংযোজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ১০টি উড়োজাহাজের সবকটি উড়োজাহাজ বুঝে পাবে।
নতুন চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো- আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
এর আগে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ইআরের নামও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া। সেগুলো হলো- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনারগুলো চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। ‘রাজহংস’-এর আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি র্পযন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কলের সুবিধাও পাবেন।