আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রথমবারের মতো মাঠে বসে ফুটবল খেলা দেখলেন ইরানের কয়েক হাজার নারী। এ সময় তাদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। তারা পতাকা উড়িয়ে খেলা উপভোগ করছিলেন এবং সেলফিও তুলছিলেন। বৃহস্পতিবার একটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে যান নারীরা। কয়েক দশক পরে প্রথমবার নারীরা এভাবে মাঠে বসে খেলা দেখার অনুমতি পেলেন।
ইরানে মাঠে বসে নারীদের খেলা দেখতে না দেয়ার বিষয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক ছিল। আর এ বিষয়ে সম্প্রতি ফিফার তরফ থেকেও হুমকি দেয়া হয়েছিল যে, ইরান যদি খেলার মাঠে তাদের বিতর্কিত বিধিনিষেধ তুলে না নেয় তবে তারাও খেলায় অংশ নিতে পারবে না।
অনেক নারীই ইরানের সবুজ, সাদা এবং লালের মিশেলে তৈরি পতাকা মাথায় এবং গলায় ঝুলিয়ে তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামে ২০২২ ওয়ার্ল্ড কাপের বাছাই পর্বের খেলা উপভোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড কাপের বাছাই পর্বে অংশ নিয়েছিল ইরান এবং কম্বোডিয়া। অনেক নারীই গালে এবং কপালে ইরানের পতাকা একে খেলার মাঠে হাজির হয়েছিলেন।
তাদের উচ্ছ্বাসই বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে তারা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিশেষ করে ফুটবলপ্রেমী নারীদের জন্য এটা ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন। যখন ইরান একটি করে গোল দিচ্ছিল তখনই আরও জোরে চিৎকার করে উল্লাস করছিলেন নারীরা। এই ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ১৪টি গোল করেছে ইরান।
প্রায় ৪০ বছর পর মাঠে বসে খেলা দেখার অনুমতি পেলেন ইরানি নারীরা। গত মাসেই ফিফার তরফ থেকে ইরানকে নির্দেশ দেয়া হয় যেন তারা নারীদের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার ওপর থেকে সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নেয়। এরপরেই ইরান নারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সাম্প্রতিক সময়ে কট্টরপন্থি দেশ সৌদিও নারীদের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুমতি দিয়েছে।